আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ গাজায় লড়াইয়ে ইসরায়েলের চার সেনা নিহত হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১১ জুন) জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পাতা ফাঁদে পড়ে চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
সোমবার (১০ জুন) রাফায় একটি ভবনে বোমা বিস্ফোরণে চার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মেজর তাল পশেবিলস্কি শাওলভ (২৪), স্টাফ সার্জেন্ট এতিন কার্লসব্রান (২০), সার্জেন্ট আলমোগ শালম (১৯) ও সার্জেন্ট ইয়ার লেভিন (১৯)। শালম ও লেভিন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। শাওলভ তাদের কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত মতে, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে একটি ভবনে অভিযানে যায় নিহত সেনারা। শুরুতে ভবনে ভেতর ফাঁদ পাতা আছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে তারা একটি বিস্ফোরক ছুড়েন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে লুকিয়ে রাখা অপর কোনো বিস্ফোরক বিস্ফোরিত না হওয়ায় দুই সেনা তিনতলা ভবনটিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু সে সময় লুকিয়ে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হলে ভবনের অংশবিশেষ কয়েকজন সেনার ওপর ধসে পড়ে।
পরবর্তীতে ওই ভবনের ভেতর একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি করে আইডিএফ বলেছে, এই ভবনে হামাসের যাতায়াত ছিল।
আইডিএফ আরও জানায়, নিহত চার সেনা ছাড়াও আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। এ নিয়ে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর পর ২৯৯ সেনা হারাল ইসরাইল।
এদিকে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।
ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। একে নতুন সুযোগ বলেও উল্লেখ করা হয়।
ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে গাজায় তীব্র হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু লাশ।