নিজস্ব প্রতিবেদক :
আলু ও পেঁয়াজের আমদানিতে আইপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যে কোনো আমদানিকারক এখন যে কোনো দেশ থেকে চাইলেই পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে পারবেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২১-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বৃষ্টি, ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে বাজারে কাঁচাপণ্যের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, কোনও ব্যবসায়ীকে পণ্য মজুদের সুযোগ দেওয়া হবে না।
প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাজার কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকার বেশি ও পেঁয়াজের দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। বাজেটে বলা হয়েছে, উৎস কর কমানো হয়েছে ২ থেকে ১ শতাংশে। কিন্তু বাজারে এর কোনও প্রতিফলন নেই কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই মুহূর্তে ১৮টি জেলায় বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের কারণে পানি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পানি উঠেছে। বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এটি সাময়িক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব, বন্যা পরবর্তী তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে। বন্যা পরবর্তী সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বসতে বলবো। বর্তমানে কৃষি পণ্যের কী অবস্থা, সেটা জেনে আমরা আপনাদের জানাবো।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তর সব সময় সচেষ্ট আছে। আপনারা নিজেরাই দেখতে পারছেন ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এটা কিন্তু কোনও কন্সপিরেসি না। বাজারে বসার মত অবস্থা নেই। যেখান থেকে আমাদের কৃষি পণ্য আসার কথা, সেখান থেকে আসতে পারছে না। মজুদদারে বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থা থাকবে। আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। কোনও ব্যবসায়ীকে মজুদদারি করে পণ্যের দাম বাড়াতে দেওয়া হবে না।
দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যসহ সরকারের সব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য দেশের বেকারত্ব দূর করা। এজন্য শুধু গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তাই দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ সময়ে রফতানি বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। তাই সব রফতানিকারকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরির কথাও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরিতে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরবের দেশগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউরোপসহ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রফতানি বাণিজ্য বাড়ানো হবে।