আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের রকফোর্ড শহরে এক কিশোরীসহ চারজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। এই হামলায় আরও সাত জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) ইলিনয়ের রকফোর্ড শহরে এ ঘটনা ঘটে।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
রকফোর্ড শহরের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে ছুরি হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। এসব হামলার জন্য দায়ী সন্দেহে ২২ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে আছে এক ১৫ বছর বয়সী কিশোরী, ৬৩ বছর বয়সী নারী ও ৪৯ ও ২২ বছর বয়সী দুই পুরুষ। আহত এক ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশের বিবৃতিতে পাঁচ আহত ব্যক্তির কথা বলা হলেও মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আহতের সংখ্যা সাত।
এদিকে, এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। হামলা চালানোর উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, রকফোর্ডের ফ্লোরেন্স স্ট্রিটের একটি বাড়িসহ ক্লিভল্যান্ড এভিনিউ, এগলেসটোন রোড এলাকায় হামলা চালিয়েছেন এই যুবক।
রকফোর্ড পুলিশপ্রধান কারলা রেড বলেন, রকফোর্ড পুলিশ দুপুর ১টা ১৪ মিনিটের দিকে ফোন কল পাই। সেসময় এক ব্যক্তি চিকিৎসা সহায়তার জন্য অনুরোধ করছিলেন। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীর জন্য কল দেন।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশের হেফাজতে আছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান কারলা রেড। তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, এই ঘটনার সঙ্গে একমাত্র ২২ বছর বয়সী ওই যুবকই জড়িত। তার কোনো সহায়তাকারী ছিল না। যেসব এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, আমরা সেই জায়গাগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছি। পাশাপাশি এলাকাগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
উইনেবাগো কান্ট্রি শেরিফ গ্যারি কারুয়ানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর এক তরুণীকে হাত-মুখে ছুরিকাঘাতের ক্ষত নিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারীর হাত থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। ওই তরুণী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে সাহায্য করতে গিয়ে আরেক ব্যক্তিও ছুরিকাঘাতে আহত হন।
রকফোর্ড পুলিশপ্রধান কারলা রেড বলেন, রকফোর্ড পুলিশ দুপুর ১টা ১৪ মিনিটের দিকে ফোন কল পাই। সেসময় এক ব্যক্তি চিকিৎসা সহায়তার জন্য অনুরোধ করছিলেন। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীর জন্য কল দেন।
কারলা বলেন, আমরা মনে করছি, এই ঘটনার সঙ্গে একমাত্র ২২ বছর বয়সী ওই যুবকই জড়িত। তার কোনো সহায়তাকারী ছিল না। যেসব এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, আমরা সেই জায়গাগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছি। পাশাপাশি এলাকাগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
এক বিবৃতিতে রকফোর্ড শহরের মেয়র টম ম্যাকনামারা বলেন, আকস্মিক এই হামলা যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার ও এলাকাবাসীর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাদেরকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।