আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার এক সপ্তাহ পেরোতে চললেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১০০ জন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে বুধবার (২৭ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ক্রোকাস সিটি হলে গত ২২ মার্চের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৮২ জন।
কিন্তু রুশ সংবাদমাধ্যম বাজা জানিয়েছে, ওই হামলা ঘটনার পর থেকে এখনো অন্তত ৯৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর করা তালিকায় এদের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই তালিকায় এমন কিছু লোকের নাম রয়েছে, যাদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারছে না। তাদের নাম আবার হতাহতের তালিকায় নেই। আবার কিছু লোক মারা গেছেন, কিন্তু তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, এই তালিকায় এমন লোক রয়েছেন, যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারছেন না, কিন্তু তাদের নাম আহত এবং নিহতদের তালিকায় নেই। এদের মধ্যে কিছু লোক মারা গেছেন, তবে এখনো তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাশিয়ার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কালাশনিকভ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে চার বন্দুকধারী এই হামলা চালিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ শতাধিক গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার ক্রোকাস সিটি হলের ওই কনসার্টে সোভিয়েত যুগের রক গ্রুপ ‘পিকনিক’ পারফর্ম করার কথা ছিল। এটি দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৬ হাজার ২০০ দর্শক।
কিন্তু কনসার্ট শুরুর হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই হামলা শুরু হয়। গুলির পাশাপাশি ভবনটিতে আগুনও ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
বাজা জানিয়েছে, ভবনটির ছাদ ধসে পড়ার আগ মুহূর্তে সেখানে হয়তো দুই শতাধিক মানুষ ছিল। জরুরি সেবা সংস্থাগুলো ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরের ক্রাসনোগোর্স্ক অঞ্চলের ক্রোকাস সিটি হলের কনসার্ট ভেন্যুতে ভয়াবহ হামলা হয়। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে কনসার্ট দেখতে আসা লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। সিটি হলে কনসার্টটির আয়োজন করা হয়, যার চারপাশে হামলাকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। সিটি হলে হামলার সময় কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ২০০ জন। ভেন্যুটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ক্রোকাস সিটি হলের ধারণক্ষমতা সাড়ে নয় হাজার। হামলার সময় যে কনসার্ট চলছিল, সেটির টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০টি। রাশিয়ার জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের কনসার্ট ছিল শুক্রবার। হলে হামলা ঘটাতে পাঁচ বন্দুকধারী অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা যুদ্ধের পোশাক ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।