আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। তাদের সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। কিন্তু পরিবারের কেউ তা মেনে নেয়নি। তাই স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিলেন প্রতিমা বিশ্বাস এবং পপি মণ্ডল। এরপর পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ওই দুই তরুণী।
হাতে শাঁখা-পলা, মালাবদল ও সিঁদুর দানের মাধ্যমে মনের মানুষকে বিয়ের সম্পর্কে বেঁধে নিলেন দুজনে। আর সেই ঘটনার সাক্ষী রইলেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ইংরেজ বাজারে মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হ্যানটা কালী মন্দির অঞ্চলের মানুষেরা।
জানা যায়, প্রতিমা ও পপি দীর্ঘদিনের বন্ধু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পরিচয়, সেখান থেকে মোবাইল ফোনের নম্বর দেওয়া-নেওয়া। এরপর আলাপ ধীরে ধীরে গাঢ় হয়। দুজনের বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমে। তারা পরিকল্পনা করেন একসঙ্গে থাকবেন। সেই পরিকল্পনা থেকেই নেন বিয়ের সিদ্ধান্ত।
পপি মণ্ডল বলেন, দু’বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছি এবং অনেকভাবে তাদের বুঝিয়েছিলাম, আমরা বিয়ে না করলেও একসঙ্গে বন্ধুর মতো থাকবো। কিন্তু কেউ আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নেননি। তাই দুজনেই সিদ্ধান্ত নেই বিয়ে করার।
নতুন সংসার চলবে কীভাবে? থাকবেন কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে পপি জানান, পড়াশোনা শিখেছি। কোথাও না কোথাও অবশ্যই চাকরি পেয়ে যাবো। এরপর বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে একসঙ্গে থাকবো।
প্রতিমা বিশ্বাসের কথায়, আমরা পরিবারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের পরিবার এই সম্পর্ককে মান্যতা দিতে রাজি হয়নি। তাই আমরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।’ দুজনেই জানিয়েছেন, আপাতত তারা ভাড়া বাড়িতেই থাকবেন। পেট চালানোর জন্য কোনও একটা কাজ জোগাড় করে নেবেন। পপি মণ্ডলের কথায়, ‘এত বড় পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও ঠিক কাজ জোগাড় হয়ে যাবে। শপিং মল আছে আরও অনেক জায়গা আছে। আমরা শিক্ষিত কাজ জোগাড় করতে অসুবিধা হবে না।
সমকামী এ দম্পতি দাবি করেন, তারা সমাজে সমালোচনার ভয় পান না। বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসা পূর্ণতা লাভ করেছে, এতেই তারা খুশি।
এর আগে, গত বছরের মে মাসে কলকাতার একটি মন্দিরে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মৌমিতা মজুমদার ও মৌসুমী দত্ত নামে দুই তরুণী।