নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাশকতা অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপির এই নেতাকে জামিন দেন।
আদালতে দুলুর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে তার গুলশানের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বিএনপি। পরদিন ১৮ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডার থানায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক রিপন মিয়া। তাদের মধ্যে দুলুকে কারাগারে আটক এবং অপর ১১ আসামির প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ওই আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হওয়ার খবর পায় পুলিশ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঘটনাস্থলে তারা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত করে।