দীর্ঘ ১ যুগ পরে আসন্ন ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আনন্দ উল্লাসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আঃ লীগ , বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা । রোববার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেবার শেষ দিন , এই আনন্দ উল্লাসে সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা কমিশনার প্রার্থী হয়েছেন।  তারা হলেন ২১ নং থেকে আবুল বাতেন ও ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে গালিবুজ্জামান ।

২১ নং ওয়ার্ডটি কমলাপুরের একাংশ , ঝিলটুলীর একাংশ ও চর কমলাপুরের একাংশ নিয়ে গঠিত।

আবুল বাতেন ৮০ ও ৯০ দশকের রাজপথের তুখোড় ছাত্র নেতা হিসেবে ফরিদপুরে ব্যাপক পরিচিত । তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি ।

ফরিদপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মনোনয়নপত্র জমা

২০০৮ সালে নিজ দল আঃ লীগ ক্ষমতায় আসার পরে হাইব্রীড আঃ লীগ ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের রোষানালে পরে ফরিদপুর ছাড়তে বাধ্য হোন। দীর্ঘ এগার বছর ফরিদপুরে ফিরতে পারেননি আবুল বাতেন , শুধু তাই নয় হাইব্রীড আঃ লীগ সদস্যরা পদ পদবীটি ও কেড়ে নিয়েছে ।

আরও পড়ুন : ১৬ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে ট্রেন চলাচল

প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে হাইব্রীড লীগের পতন ঘটে এবং আবুল বাতেন নিজ এলাকায় ফিরে এসে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ গ্রহণ করে ।

১৯ নং ওয়ার্ডটি গঠিত হয়েছে সদর হাসপাতাল , স্টেশন রোডের একাংশ , খ্রিষ্টান মিশন ও ভাটি লক্ষ্মীপুরের একাংশ সহ গঠিত । এই ওয়ার্ড থেকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন গালিবুজ্জামান ।

গালিবুজ্জামান জন্মলগ্ন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে প্রথমে ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে আঃ লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত । এক সময় সরকারী ইয়াসিন কলেজের ছাত্র ছাত্রী সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন । গালিবুজ্জামান ও হাইব্রীড আঃ লীগের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল ।