যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি মানব শরীরের জন্য বেশ নিরাপদ এবং সেটি নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সোমবার প্রকাশিত এ খবর বিশ্বের মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. পিটার হোটেজ বললেন, এখনই উপসংহার টানার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তার মতে, করোনাভাইরাসের জন্য আবিষ্কৃত প্রথম ভ্যাকসিন সেরা নাও হতে পারে।
যে ভ্যাকসিনটি প্রকৃতঅর্থেই ঠিকমতো কার্যকর হবে, তা পেতে আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের তথ্য দেখে বলা যায়, একক ডোজের ক্ষেত্রে, ভ্যাকসিন মনে হয় না সবকিছু করেছে। ভ্যাকসিনটি কাজ করতে যাচ্ছে কিনা তার একটি ভালো সূচক হলো, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডির মাত্রা, যা খুব বেশি ছিল না। দুই ডোজের ক্ষেত্রে একে বেশ ভালো মনে হয়েছে, কিন্তু মাত্রই ১০ জন রোগীকে দুই ডোজ করে দেয়া হয়েছে। কাজেই এখন উপসংহার টানা সত্যিই কঠিন, এই পর্যায়ে তো অবশ্যই কঠিন।’
হোটেজ বলেন, ফলাফল বলছে আরো বৃহত্তর ট্রায়াল প্রয়োজন। তার কথায়, ‘অপারেশনে উচ্চ গতি আনতে সেটাই করতে হবে। এই ভ্যাকসিনগুলো সবাই আগামী বছরের বিভিন্ন সময় তৃতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রবেশ করবে এবং তখন ডেটা জড়ো করার পর বলা যাবে, ভ্যাকসিন সত্যি সত্যি কাজ করে কিনা, এটি নিরাপদ কিনা। কিন্তু এটা মনে রাখবেন, আমাদের প্রথম ভ্যাকসিনটি সেরা নাও হতে পারে।’
ন্যাশনাল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এর প্রতিষ্ঠাতা ডিন এবং বেইলর কলেজ অব মেডিসিন এর অধ্যাপক হোটেজ আরো বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, এর বেশিরভাগই আংশিক নিরাপদ এবং মানুষকে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে, কিন্তু সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে না। কাজেই ততদিন পর্যন্ত আমাদের চলমান স্বাস্থ্য বিধির ওপর ভরসা রেখে চলতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২৩টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। সূত্র: সিএনএন