ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রতি চারজনের একজনই করোনায় আক্রান্ত। নয়া দিল্লিতে বাস করা ২ কোটি মানুষের উপর করা নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই গবেষণার ফলাফলের কারণে আবারো ভারতে করোনা আক্রান্তের সরকারি হিসেব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দিল্লিতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের দেহে চালানো হয়েছে এন্টিবডি পরীক্ষা। প্রাপ্ত এ তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লিতে কমপক্ষে ৫.৮ মিলিয়ন বা ৫৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার। সরকারি হিসেবের তুলনায় এন্টিবডি টেস্টের প্রাপ্ত ফলাফল ৩৭ গুন বেশি।
আরও পড়ুন : বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে তরুণরা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্র ভারত। গত বুধবার দেশটিতে একদিনেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন।
দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা এখন ২৮ লাখেরও বেশি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেখানকার প্রায় ১৫০০০ মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯.১ শতাংশের দেহেই এন্টিবডি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণার ফল এখনই আমলে নেয়া উচিৎ। গত জুন-জুলাই মাসেও একই ধরণের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতেও ২৩ শতাংশ মানুষের দেহে এন্টিবডি পাওয়া যায়।
ভারতের অন্যান্য শহরগুলোতেও যেসব জরিপ হচ্ছে তাতেও জানা যাচ্ছে যে নাগরিকদের একটি বড় অংশই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুনে শহরের ৫১.৫ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে।
অপরদিকে ভারতের অন্যতম প্রধান নগরি মুম্বাইয়ের বস্তিতে পরীক্ষা করে ৫৭ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে।
গত জুন মাসের শুরুতেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-এর একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, ভারতের হটস্পট বা কনটেনমেন্ট জোনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষই করোনায় আক্রান্ত।
এ বার সেই দাবি আরও জোরাল হয়ে সামনে এল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্টে। দেশটির গণমাধ্যম জি নিউজে জানানো হয়, থাইরোকেয়ার পরিচালিত একটি সমীক্ষাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার অ্যান্টিবডি পরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা।
২ লক্ষ ৭০ হাজার অ্যান্টিবডি পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে এরমধ্যে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ কখনও না কখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা অনেকেই হয়তো নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আবার সেরেও উঠেছেন নিজে থেকেই।