Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিক আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেতু মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সবারপ্রিয় জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব.) এ মালিক স্যার আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। আমরা আমাদের অভিভাবক হারিয়েছি। দেশ তার কী অমূল্য সম্পদ হারিয়েছে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করবে।

আব্দুল মালিকের মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক।

আব্দুল মালিক ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। এরপর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে সেখান থেকে আইএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ১৯৫৪ সালে নভেম্বরে মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৫৮ সালে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

প্রখ্যাত এই চিকিৎসা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। একইসঙ্গে দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন।

আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন।

আবদুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মো. মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিক আর নেই

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেতু মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সবারপ্রিয় জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব.) এ মালিক স্যার আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। আমরা আমাদের অভিভাবক হারিয়েছি। দেশ তার কী অমূল্য সম্পদ হারিয়েছে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করবে।

আব্দুল মালিকের মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক।

আব্দুল মালিক ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। এরপর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে সেখান থেকে আইএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ১৯৫৪ সালে নভেম্বরে মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৫৮ সালে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

প্রখ্যাত এই চিকিৎসা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। একইসঙ্গে দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন।

আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন।

আবদুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মো. মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।