Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ৭ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৫৯৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৯ জনে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৬ জন। ফলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যা ৯৬ হাজার ২২৮ জন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১ জন এবং ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) একজন করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৭২ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২০ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ৭৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৬৭ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯৬ হাজার ২২৮ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৫২৯ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ৭ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৫৯৬

প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৯ জনে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৬ জন। ফলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যা ৯৬ হাজার ২২৮ জন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১ জন এবং ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) একজন করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৭২ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২০ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ৭৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৬৭ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯৬ হাজার ২২৮ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৫২৯ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।