Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না : সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তবে রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে। ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাদের ওপর আরও বেশি ট্যাক্স চাপিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসকল দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালো ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

ডলারের দাম বাড়ায় দেশে রপ্তানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিলো। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সাথে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সহায়ক পরিবেশ থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রাঅর্জনে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না : সালমান এফ রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তবে রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে। ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাদের ওপর আরও বেশি ট্যাক্স চাপিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসকল দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালো ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

ডলারের দাম বাড়ায় দেশে রপ্তানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিলো। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সাথে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিনিয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সহায়ক পরিবেশ থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রাঅর্জনে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি।