জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৬ লাখ ১ হাজার ৫৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৬ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬০ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ২৭৩ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৭ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি: দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। আর এ মাইলফলকে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে চার মাস। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে আরও ২ হাজার ৭০৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮১ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা শনিবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৬৩২টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৯২৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৭৩ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন। সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বিচারে প্রতি ১০ লাখে করোনায় মারা গেছেন ১৫ দশমিক ৮৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ দশমিক ৩২ জন।