বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত ‘গবাদি পশু পাচার’ সংক্রান্ত সংবাদ ভিত্তিহীন : বিজিবি

যোগাযোগ ডেস্ক
আপডেট : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত ‘গবাদি পশু পাচার’ সংক্রান্ত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে আজ এ প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘ভারতের গবাদি পশু পাচারকে বিজিবি সমর্থন করে’ এ শিরোনাামে ভারতের ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

গত ১৩ জুলাই ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ-এর দেয়া ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সাপোর্টস ক্যাটল স্মাগলিং’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সংবাদে গত ৬ জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া স্বাক্ষরিত হিন্দি ভাষায় লিখিত এক সংবাদ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএসএফ দাবি করছে ভারত থেকে গরু পাচারে বিজিবি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিজিবি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফ’র নিষ্ক্রিয়তা অথবা তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারনা করে।

ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাংলাদেশে এভাবে গরু পাচার করার কাজে অতি উৎসাহী হয়। এতে করে দেশীয় খামারিরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, সীমান্তে গবাদী পশু চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনগনকে নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন, সীমান্তবর্তী জনগণকে সাথে নিয়ে রাত্রিকালীন পাহারা দেওয়া ও সীমান্তে বিজিবি’র টহল বৃদ্ধিসহ কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মূলত গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিএসএফ-এর ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্যই ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হতে পারে বলে অনুমেয়।

সংবাদে আরও বলা হয়, চলতি জুলাই মাসের শেষে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু চোরাচালান বেড়েছে। এ ব্যাপারে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদার কথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জানা গেছে বিগত বছরে ১ কোটির সামান্য কিছু বেশি পশু কোরবানির জন্য সারাদেশে ব্যবহৃত হয়েছে। এবছর বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ধারণা করা হচ্ছে এ সংখ্যা ১ কোটির কিছু কম হবে। আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য আমাদের দেশে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু মজুদ রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত।

তাই, দেশীয় খামারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষে বিদেশী গরুর ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় খামার থেকেই কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করা হবে। এ প্রেক্ষিতে বিজিবি দেশের সীমান্তে গবাদী পশু চোরাচালানরোধে কঠোর নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: