বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

আরো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পেতে যাচ্ছে পোশাক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য গত ২৫ মার্চ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার ঘোষিত এই বিশেষ ঋণ সুবিধা ব্যবহার করে শ্রমিকদের এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি পরিশোধ করেছেন সবচেয়ে বড় রফতানি খাত পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। এবার জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মজুরি পরিশোধের জন্য আরো সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা পেতে যাচ্ছে পোশাক খাত। এরই মধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। যদিও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি এখনো।

গতকাল ২০২০-২১ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্য ঘোষণা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় পোশাক খাতের প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মজুরি পরিশোধের জন্য আবারো ঋণ সুবিধা ঘোষণার আহ্বান জানান। তাদের এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সরকার ঘোষিত প্রণোদনার ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে পোশাক শিল্প মালিকদের পুনরায় ঋণ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি ও পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পুনরায় ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সভায় আমরা বলেছি বাংলাদেশ ব্যাংকে কথা বলে একটা সার্কুলার করার ব্যবস্থা করতে, যাতে তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে আমরা আগামী তিন মাস বেতন-ভাতা দিতে পারি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ থেকে অর্থ নেয়ার পর আরো আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হয়েছিল, যা সরকার ঘোষিত অন্য আরেকটি ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে দেয়া হয়েছিল।

তহবিলটি থেকে আবারো অর্থ নিয়ে আগামী তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা হবে এমন আশা ব্যক্ত করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবার সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে। তবে খুব সম্ভব সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার কমই প্রয়োজন হবে। আরেক দফা ঋণ সুবিধা দিতে আমরা এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। এই চিঠির সূত্র ধরেই বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যেহেতু বলেছেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন, কাজেই আমরা আশা করছি যে তারা একটা ব্যবস্থা করবেন। পোশাক খাতের সবচেয়ে শ্লথ সময় যাচ্ছে এখন। একজন উদ্যোক্তা হারিয়ে গেলে নতুন উদ্যোক্তা পাওয়া খুব সহজ না। কাজেই এ সুবিধা পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া