আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ১১৪ বিদেশি নাগরিকসহ ৯ হাজারেরও বেশি বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইটের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইটের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পায়। তারপর থেকে এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশটি।
ক্ষমতাসীন জান্তার এক মুখপাত্র গ্লোবাল নিউ লাইটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মানবিক বিবেচনায় প্রতি বছরই কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়। এবারই প্রথম ১১৪ জন বিদেশিসহ ৯ হাজার ৬ শ’জনের বেশি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই তারা কারামুক্ত হয়ে স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে পারবেন।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্তি পর এই বন্দিদের প্রথমে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। বন্দিদের স্বজনদেরও সেই কারাগারে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে বন্দিদের মুক্তির খবর শুনে কারাগারে বাইরে জড়ো হওয়া শুরু করেছেন মানুষ।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পায় মিয়ানমার। তারপর থেকে এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশটি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।