Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ বছর পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ২২৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একপ্রান্ত ধরে রেখে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। হুট করেই যেন মনোযোগ হারালেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে স্কুপ করার চেষ্টায় বোল্ড আবাহনী লিমিটেড অধিনায়ক।

শান্তর বিদায়েই একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জয়। অনায়াসেই শেষের ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই ঐতিহ্যবাহী দল। সেখানে ৩৯ রানে জিতেছে মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ১৬ বল আগেই আবাহনী গুটিয়ে যায় ২২৫ রানে।

শেষবার তারা আকাশি-নীলদের হারিয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। সেবারের ডিপিএলের লিগ পর্বে ৮ উইকেটে জিতেছিল সাদা-কালোরা। এরপর আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের তৃপ্তি কেমন তা যেন ভুলে গিয়েছিল দলটি। এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো।

লিগ পর্বে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল আবাহনী। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে নবম জয়ে সমান পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডানের অবস্থান দুইয়ে। কারণ, নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে সামনে সুপার লিগে খেলবে দল দুটি। সেখানে অংশ নেবে পয়েন্ট তালিকার সেরা ছয়টি দল।

লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। ক্যাচ তুলে জিশান আলম টিকতে পারেননি। ১২ বলে ৩ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বিপজ্জনক হতে দেননি ইবাদত। ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানে থামেন তিনি। এরপর শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুনের প্রতিরোধ লড়াই দীর্ঘ হয়নি। ১৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করা মিঠুনকে বোল্ড করেন মিরাজ।

৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টানেন শান্ত ও মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। রান তোলার গতিও ছিল ভালো। এই জুটি ভেঙে মোহামেডানকে ব্রেক থ্রু দেন ইবাদত। মুমিনুল ৩৮ বলে ১ চারে ২৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে মাহফুজুর রহমান রাব্বি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ফের চাপে পড়ে যায় আবাহনী। তিনি করেন ৯ বলে ১ রান।

বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আশার আলো হয়ে একপ্রান্ত আগলে খেলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক শান্ত। সঙ্গী হিসেবে তিনি পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। তাদের জুটি যখন মোহামেডানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল, তখনই আবার মঞ্চে আবির্ভূত হন ইবাদত। ৪৪ রানের জুটি ভেঙে দেন তিনি। মোসাদ্দেক ২১ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৪ রান। কিছুক্ষণ পর শান্তকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোল্ড করলে আবাহনী একরকম ছিটকে যায় লড়াই থেকে। শান্ত ১১৩ বলে ৭ চারে করেন ৮০ রান।

মোহামেডানের জয়ের ব্যবধান কমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর কারণে। তিনি শেষদিকে ৩৩ বলে ১ চারে করেন ২৪ রান। রিপন মণ্ডলকে ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন সেই ইবাদতই। চার উইকেট নেন এবাদত, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া স্পিনার মিরাজ ৩১ রানে ও পেসার সাইফউদ্দিন ৪৪ রানে পান দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান দারুণ শুরু পায় ইমন ও মাহিদুল অংকনের ব্যাটে। যদিও ওপেনার রনি তালুকদার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটিতে শুরুরু ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে উঠে মোহামেডান। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে রকিবুল হাসানের স্পিনে অংকন আউট হলেও ঠিকই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ইমন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আজ ছুঁলেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১৮ বলে ১৮ চার ও দুই ছক্কায় ১১৪ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে আউট হলেও আজ তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মিরাজরা সেই ভিতটা কাজে লাগাতে পারেননি। তিন উইকেট নেন নাহিদ রানা, দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রকিবুল, মৃত্যুঞ্জয় ও রাব্বি।

এর আগে টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে ৫ ওভারে ৩৩ রান করেন আনিসুল। ১টি চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করে নাহিদ রানার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রনি। এর পর দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুলের সাথে জুটি গড়ে ১২৩ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। হাফ-সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন অঙ্কন। তিনি ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় ৩ ও মুশফিকুর রহিম ২০ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আনিসুল। রানার দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১৮টি চার ও ২ ছক্কায় ১১৮ বল খেলে ১১৪ রান করেন আনিসুল।

আনিসুলের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি মোহামেডান। ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। রানা ৪৯ রান দিয়ে ৩টি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ৩টি, এছাড়া মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট তুলে নেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৯ বছর পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে একপ্রান্ত ধরে রেখে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। হুট করেই যেন মনোযোগ হারালেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে স্কুপ করার চেষ্টায় বোল্ড আবাহনী লিমিটেড অধিনায়ক।

শান্তর বিদায়েই একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জয়। অনায়াসেই শেষের ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই ঐতিহ্যবাহী দল। সেখানে ৩৯ রানে জিতেছে মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ১৬ বল আগেই আবাহনী গুটিয়ে যায় ২২৫ রানে।

শেষবার তারা আকাশি-নীলদের হারিয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। সেবারের ডিপিএলের লিগ পর্বে ৮ উইকেটে জিতেছিল সাদা-কালোরা। এরপর আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের তৃপ্তি কেমন তা যেন ভুলে গিয়েছিল দলটি। এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো।

লিগ পর্বে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল আবাহনী। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে নবম জয়ে সমান পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডানের অবস্থান দুইয়ে। কারণ, নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে সামনে সুপার লিগে খেলবে দল দুটি। সেখানে অংশ নেবে পয়েন্ট তালিকার সেরা ছয়টি দল।

লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। ক্যাচ তুলে জিশান আলম টিকতে পারেননি। ১২ বলে ৩ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বিপজ্জনক হতে দেননি ইবাদত। ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানে থামেন তিনি। এরপর শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুনের প্রতিরোধ লড়াই দীর্ঘ হয়নি। ১৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করা মিঠুনকে বোল্ড করেন মিরাজ।

৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টানেন শান্ত ও মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। রান তোলার গতিও ছিল ভালো। এই জুটি ভেঙে মোহামেডানকে ব্রেক থ্রু দেন ইবাদত। মুমিনুল ৩৮ বলে ১ চারে ২৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে মাহফুজুর রহমান রাব্বি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ফের চাপে পড়ে যায় আবাহনী। তিনি করেন ৯ বলে ১ রান।

বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আশার আলো হয়ে একপ্রান্ত আগলে খেলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক শান্ত। সঙ্গী হিসেবে তিনি পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। তাদের জুটি যখন মোহামেডানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল, তখনই আবার মঞ্চে আবির্ভূত হন ইবাদত। ৪৪ রানের জুটি ভেঙে দেন তিনি। মোসাদ্দেক ২১ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৪ রান। কিছুক্ষণ পর শান্তকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোল্ড করলে আবাহনী একরকম ছিটকে যায় লড়াই থেকে। শান্ত ১১৩ বলে ৭ চারে করেন ৮০ রান।

মোহামেডানের জয়ের ব্যবধান কমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর কারণে। তিনি শেষদিকে ৩৩ বলে ১ চারে করেন ২৪ রান। রিপন মণ্ডলকে ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন সেই ইবাদতই। চার উইকেট নেন এবাদত, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া স্পিনার মিরাজ ৩১ রানে ও পেসার সাইফউদ্দিন ৪৪ রানে পান দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান দারুণ শুরু পায় ইমন ও মাহিদুল অংকনের ব্যাটে। যদিও ওপেনার রনি তালুকদার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটিতে শুরুরু ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে উঠে মোহামেডান। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে রকিবুল হাসানের স্পিনে অংকন আউট হলেও ঠিকই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ইমন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আজ ছুঁলেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১৮ বলে ১৮ চার ও দুই ছক্কায় ১১৪ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে আউট হলেও আজ তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মিরাজরা সেই ভিতটা কাজে লাগাতে পারেননি। তিন উইকেট নেন নাহিদ রানা, দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রকিবুল, মৃত্যুঞ্জয় ও রাব্বি।

এর আগে টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে ৫ ওভারে ৩৩ রান করেন আনিসুল। ১টি চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করে নাহিদ রানার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রনি। এর পর দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুলের সাথে জুটি গড়ে ১২৩ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। হাফ-সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন অঙ্কন। তিনি ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় ৩ ও মুশফিকুর রহিম ২০ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আনিসুল। রানার দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১৮টি চার ও ২ ছক্কায় ১১৮ বল খেলে ১১৪ রান করেন আনিসুল।

আনিসুলের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি মোহামেডান। ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। রানা ৪৯ রান দিয়ে ৩টি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ৩টি, এছাড়া মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট তুলে নেন।