Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে সাবেক এমপি পুত্রের মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২১৮ জন দেখেছেন

ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান

রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকার একটি ভবনের নয় তলা থেকে নিচে পড়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩)। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এটাকে কেউ বলছেন আত্মহত্যা আবার কেউবা বলছেন হত্যাও হতে পারে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তিনি নিজেই নয় তলা থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এমপি শহিদুল।

আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর আগে তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন আসিফ। তবে এ বিয়ে মেনে নেয়নি আসিফের পরিবার। আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, এ কারণে আসিফ চার মাস রিহ্যাবেও ছিলেন। গত রাতে বাইরে থেকে মদ পান করে সে বাসায় এসেছিল। শেষ রাতে নয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অসিফ আত্মহত্যা করেন বলে তিনি দাবি করেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসিফ কাঁঠালবাগান শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। আসিফ ও সাবরিনার সঙ্গে মাঝে মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া হতো। গতরাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন।

আরও পড়ুন : সিনহা হত্যা: অপেশাদারি চরম সমন্বয়হীনতার কুফল

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসিফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ী এলাকার অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। শহিদুল ইসলাম ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি কামারখন্দ) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, আসিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিল।

তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনই ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না, তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে। পরে এখানে এসে আসিফকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না।

আসিফের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান বলেন, তদন্তে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

৯ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে সাবেক এমপি পুত্রের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকার একটি ভবনের নয় তলা থেকে নিচে পড়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩)। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এটাকে কেউ বলছেন আত্মহত্যা আবার কেউবা বলছেন হত্যাও হতে পারে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তিনি নিজেই নয় তলা থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এমপি শহিদুল।

আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর আগে তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন আসিফ। তবে এ বিয়ে মেনে নেয়নি আসিফের পরিবার। আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, এ কারণে আসিফ চার মাস রিহ্যাবেও ছিলেন। গত রাতে বাইরে থেকে মদ পান করে সে বাসায় এসেছিল। শেষ রাতে নয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অসিফ আত্মহত্যা করেন বলে তিনি দাবি করেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসিফ কাঁঠালবাগান শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। আসিফ ও সাবরিনার সঙ্গে মাঝে মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া হতো। গতরাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন।

আরও পড়ুন : সিনহা হত্যা: অপেশাদারি চরম সমন্বয়হীনতার কুফল

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসিফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ী এলাকার অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। শহিদুল ইসলাম ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি কামারখন্দ) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, আসিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিল।

তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনই ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না, তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে। পরে এখানে এসে আসিফকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না।

আসিফের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান বলেন, তদন্তে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।