নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি আগামী ৮ নভেম্বর সর্ববৃহৎ র্যালি করে ইতিহাস গড়বে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ওই দিন র্যালি হবে ব্যাপক, সুশৃঙ্খল এবং আড়ম্বরপূর্ণ। যা সমসাময়িক কালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর র্যালি হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
র্যালি সফল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, র্যালিতে ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের নেতাকর্মীরা অংশ নেবে। ৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করা হবে র্যালিতে।
জাহিদ বলেন, ৮ তারিখ বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বেলা ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হবে। সেখানে বিএনপির নেতৃত্বে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ করবে। সেখানে অংশ নেবে ঢাকার জনগণ।
জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সরকার ৭ নভেম্বর বইয়ের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের মন থেকে মুছে দিতে পারেনি। কারণ তাদের ভালোবাসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার আন্দোলন ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো। বন্দি অবস্থায় তাকে সারাদেশের সিপাহি-জনতা মুক্ত করেছে। কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি। তার হাতে দেশ পরিচলানার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ৬ তারিখ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্বে পালনে যেন ব্যর্থ হয়, সেই জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা তাদের লুষ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের যে-সব অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছে, তা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে রাস্তায় নামছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করায় জনস্রোত নেমেছিল। ৭৫-এর মতো আবারও নভেম্বর র্যালি জনস্রোতে পরিণত করবো।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্র্বতী সরকার যাতে দায়িত্ব পালন না করতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীর থেমে নেই। তারা তাদের লুষ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নামে ও বেনামে ষড়যন্ত্র করে চলছে।
এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে আছে ৬ নভেম্বর (বুধবার) আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত এবং ৮ নভেম্বর জাতীয় র্যালি করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।