নিজস্ব প্রতিবেদক :
রোববার (৭ মে) দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। তবে, বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তীতে ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপটি ক্রমে শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মোচা’। নামটি ইয়েমেনের দেওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোরে।
বুধবার (৩ মে) দুপুরের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় মোট ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
ঝড়-বৃষ্টি বাড়ায় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ দূর হয়েছে। যদিও বুধবার (৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১০ কি. মি.।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী দু’দিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে, ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে যশোরে, ৫১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩ মিলিমিটার।