Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ বিলিয়ন ডলার লোপাট : হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা, লোপাটের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ বিষয়ে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম।

রিটে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, সজিব ওয়াজেদ জয়, টিউলিপ সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

অভিযোগ ওঠা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি প্রতিরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, অভিযোগ তদন্তের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি অভিযোগের তদন্তের জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ওমর শরীফ জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকে আগস্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।

আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এই বিশাল অর্থের লেনদেন করেন।

তবে ২৫ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এমন খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।

ওইদিন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটি গুজব ও মিথ্যা। এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি রোসাটম (রূপপুর প্রকল্পে কাজ করছে) ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে এই রিট দায়ের করা হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছেন। এই তথ্য বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন প্রকাশ করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

৫ বিলিয়ন ডলার লোপাট : হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা, লোপাটের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ বিষয়ে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম।

রিটে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, সজিব ওয়াজেদ জয়, টিউলিপ সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

অভিযোগ ওঠা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি প্রতিরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, অভিযোগ তদন্তের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি অভিযোগের তদন্তের জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ওমর শরীফ জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকে আগস্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।

আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এই বিশাল অর্থের লেনদেন করেন।

তবে ২৫ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এমন খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।

ওইদিন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটি গুজব ও মিথ্যা। এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি রোসাটম (রূপপুর প্রকল্পে কাজ করছে) ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে এই রিট দায়ের করা হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছেন। এই তথ্য বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন প্রকাশ করেছে।