Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৩ লাখ মামলার বিচারকাজ ১৮০০ বিচারক দিয়ে করা কঠিন : প্রধান বিচারপতি

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : 

৪৩ লাখ মামলার বিচারকাজ মাত্র ১৮০০ বিচারক দিয়ে সম্পন্ন করা সহজ নয় বলে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ শতাংশে উন্নীত করা গেলে কয়েক বছরের মধ্যে মামলাজট কমানো সম্ভব হবে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মামলার জট কমিয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সারা দেশে ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই মুশকিল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরায় কাটানো দুইবছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।

এ সময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি একদিনে হইনি, এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা-মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে বসে থাকা, বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা ছিল জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময়গুলো এখানে কাটিয়েছি।

সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, একাত্তরের চেতনা ধারণ করতে না পারলে ৩০ লাখ শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্য দেশে কাজ করতে যেতে হবে না।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হাদীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

সরকারি কলেজে যাওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

৪৩ লাখ মামলার বিচারকাজ ১৮০০ বিচারক দিয়ে করা কঠিন : প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : 

৪৩ লাখ মামলার বিচারকাজ মাত্র ১৮০০ বিচারক দিয়ে সম্পন্ন করা সহজ নয় বলে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ শতাংশে উন্নীত করা গেলে কয়েক বছরের মধ্যে মামলাজট কমানো সম্ভব হবে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মামলার জট কমিয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সারা দেশে ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই মুশকিল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরায় কাটানো দুইবছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।

এ সময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি একদিনে হইনি, এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা-মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে বসে থাকা, বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা ছিল জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময়গুলো এখানে কাটিয়েছি।

সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, একাত্তরের চেতনা ধারণ করতে না পারলে ৩০ লাখ শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্য দেশে কাজ করতে যেতে হবে না।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হাদীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

সরকারি কলেজে যাওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।