Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ বছরেও পূর্ণতা পায়নি চন্দনাইশে বেইলি ব্রীজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রাম চন্দনাইশ পৌরসভার আবদুল বারীহাট বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ীভাবে ১৯৮২ সালে নির্মাণ করে। কিন্তু চল্লিশ বছর পার হলেও আজও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ব্রিজটি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ।

সরজমিন দেখা যায়, ব্রিজের পাটাতনগুলো নষ্ট হলে দুইবার মেরামত করা হলেও পুনরায় জং ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্প্যানগুলো। মরিচায় অকেজো হয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যে নিচের পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। ব্রিজের পশ্চিম পাশে সড়কের সংযোগস্থলে কার্পেটিং ও মেকাডম উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগস্থল এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ভীত হয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অঘটন। বিপর্যস্ত হতে পারে জীবন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটির কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে এলাকাবাসীর কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম ওই বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করেন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এই ব্রিজ নির্মিত হলে কৃষিপণ্যসহ এলাকার প্রায় ৫-৬ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তাই তিনি পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা ও এমপি আলহাজ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে ব্রিজটি পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা জানান, বার বার জেলা পর্যায়ে সড়ক ও সেতুর ব্যাপারে জানালে সাবেক জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দীনের হস্তক্ষেপে ৯৬ লাখ টাকায় সড়কটি সংস্কার হয়েছে। ব্রিজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

৪০ বছরেও পূর্ণতা পায়নি চন্দনাইশে বেইলি ব্রীজ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রাম চন্দনাইশ পৌরসভার আবদুল বারীহাট বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ীভাবে ১৯৮২ সালে নির্মাণ করে। কিন্তু চল্লিশ বছর পার হলেও আজও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ব্রিজটি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ।

সরজমিন দেখা যায়, ব্রিজের পাটাতনগুলো নষ্ট হলে দুইবার মেরামত করা হলেও পুনরায় জং ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্প্যানগুলো। মরিচায় অকেজো হয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যে নিচের পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। ব্রিজের পশ্চিম পাশে সড়কের সংযোগস্থলে কার্পেটিং ও মেকাডম উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগস্থল এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ভীত হয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অঘটন। বিপর্যস্ত হতে পারে জীবন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটির কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে এলাকাবাসীর কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম ওই বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করেন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এই ব্রিজ নির্মিত হলে কৃষিপণ্যসহ এলাকার প্রায় ৫-৬ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তাই তিনি পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা ও এমপি আলহাজ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে ব্রিজটি পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা জানান, বার বার জেলা পর্যায়ে সড়ক ও সেতুর ব্যাপারে জানালে সাবেক জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দীনের হস্তক্ষেপে ৯৬ লাখ টাকায় সড়কটি সংস্কার হয়েছে। ব্রিজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।