Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা : প্রেস উইং

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ৪ আগস্টের পর থেকে সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৫টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজার-দরগায় যে কোনো আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, বিবাদমান পক্ষের সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীল করা কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের তথ্য বলা হয়েছে, পুলিশ গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪টি ভাঙচুর হামলার রিপোর্ট পেয়েছে। ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাজার এবং ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট, মাজারে আগুন দেওয়া ইত্যাদি।

হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগের সর্বাধিক ১৭টি, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০ ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারটি হামলা হয়েছে।

এছাড়া ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে বা পুলিশের উদ্যোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা এবং জনগণের অংশগ্রহণে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে হামলার ঘটনায় শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি অনুসরণ করেছে। সব পুলিশ ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা : প্রেস উইং

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ৪ আগস্টের পর থেকে সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৫টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজার-দরগায় যে কোনো আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, বিবাদমান পক্ষের সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীল করা কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের তথ্য বলা হয়েছে, পুলিশ গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪টি ভাঙচুর হামলার রিপোর্ট পেয়েছে। ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাজার এবং ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট, মাজারে আগুন দেওয়া ইত্যাদি।

হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগের সর্বাধিক ১৭টি, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০ ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারটি হামলা হয়েছে।

এছাড়া ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে বা পুলিশের উদ্যোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা এবং জনগণের অংশগ্রহণে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে হামলার ঘটনায় শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি অনুসরণ করেছে। সব পুলিশ ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।