করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে। শুক্রবার মূল সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে কম, তবে শহরের অলি-গলি কিংবা আবাসিক এলাকাগুলোতে স্থানীয়দের বাধাহীনভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। বাড়ির বাইরে বের হওয়া বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেখা গেছে বাজারের ব্যাগ। ভিড় দেখা গেছে বাজারগুলোকে ঘিরে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পান্থপথ, রাজাবাজার, ফার্মেগেট, যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, জুরাইন, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতিই দেখা গেছে।
পান্থপথে কথা হয় বেশ কয়েকজন পথচারীদের সাথে। তারা জানান, কাঁচাবাজার ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে বের হয়েছিলেন। বাড়ির কাছের বাজারে যাবেন, তাই মুভমেন্ট পাস নেয়া প্রয়োজন মনে করেননি।
মোহাম্মদপর বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ইলিয়াস বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তাদের যাচাই করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। মুভমেন্ট পাস কমই পাচ্ছি। অনেকেই অনলাইনে কীভাবে পাস নিতে হবে তা বুঝতেও পারেননি।
ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় রাস্তার পাশে কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের একজন রাকিব হাসান জানালেন, পাশের গলিতেই তাদের বাসা। সারাদিন বাসায় বসে ভালো লাগে না তাই বাইরে বের হয়েছেন।
যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তার মোড়ে বাজার করছিলেন নাসিমা বেগম। কর্মজীবী এই নারী জানান, সপ্তাহের বাজার করতে বেরিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকার পরেও কেন বের হয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটির দিনে বাজার করার অভ্যাস হয়ে গেছে।
ছুটির দিন হওয়ায় শাক-সবজি কিনতে জুরাইন বাজারে গিয়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল হক। তিনি জানান, অন্যান্য বাজার আগেই করে রেখেছেন। আজ কেবল সাপ্তাহিক বাজার করতে বেরিয়েছেন।
রাজধানীর বৃহত্তম কাঁচা বাজার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রচণ্ড ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শাকসবজি, মাছ ভালো বিক্রি হচ্ছে। একজন সবজি বিক্রেতা জানালেন, গত দুই দিন তো দোকান খরচও ওঠেনি। সে হিসেবে আজ দুপুরের আগেই ভালো বেচাকেনা হয়েছে।
ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে অফিসগামী মানুষের চাপ ছিল না। ভিড় ছিল মোটামুটি বাজার কেন্দ্রীক। রাস্তায় রিকশার আধিক্য চোখে পড়েছে। সুযোগ পেয়ে রিকশাচালকরা ভাড়াও বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।