নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। দলের সভাপতি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেটে নির্বাচনী প্রথম জনসভা করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর আজ থেকেই দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নামবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আচরণবিধি মেনে চলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। সবশেষ তথ্যানুসারে ২৭টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর শরীক দলের প্রার্থীরা ৬টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৩জন। এ পর্যন্ত ১৮৮৬ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আশা করি, এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আর যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে বলেও দাবি তার।
৪০ নাগরিকের বিবৃতি বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে যে ভয়াবহ নাশকতা হচ্ছে, পুলিশকে মারা হচ্ছে, আনসারকে মারা হচ্ছে, কোর্টের এজলাসে গিয়ে নাশকতা করছে, ট্রেনের লাইন খুলে ফেলছে এসব ব্যাপারে ৪০ নাগরিক নিরব কেন? হরতাল-অবরোধ কি তারা সাপোর্ট করেন? হরতাল অবরোধ সাপোর্ট করছেন, তাহলে তারা বিএনপির দালাল। ২৭টি দল অংশ নিচ্ছে তবুও বলছেন একতরফা নির্বাচন। আসলে বিএনপির জন্য তাদের মন কাঁদে। যাদের দেশ ও জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা নেই, তারায় এই কথা বলে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। এই বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের নির্বাচনে আনার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া উচিত ছিল। ট্রেনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলা হলো, হরতাল অবরোধ এসব কি সমর্থন করেন তারা? হরতাল-অবরোধ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের যারা সমর্থন দেন তারা তো বিশিষ্ট নাগরিক নন, বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন।
নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য তার নিজস্ব বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোন দেউলিয়া দল নয়। দলীয় নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে, গণতন্ত্রের প্রতি আওয়মী লীগের কমিটমেন্ট এটা বিনষ্ট করে এমন ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপি বা কাউকে দিবে এটা কোনভাবেই সঠিক হতে পারে না। দলীয়ভাবে এরকম কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, তাদের ২০ হাজার কর্মী জেলে আছে এটাও আমরা স্বীকার করি না। আমরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে অনেকবার জেলে থাকাদের লিস্ট চেয়েছি। এমন উদ্ভট নম্বর বলে দিলেই এটা সবাই বিশ্বাস করবে এমনও না।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, শফিকুল ইসলাম শফিক, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।