নিজস্ব প্রতিবেদক :
২২ বছর আগে মূল টার্মিনাল নদীগর্ভে বিলীন হলেও এখনো স্থাপিত হয়নি চাঁদপুরে নতুন লঞ্চ টার্মিনাল। ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প টার্মিনালে যাত্রী ওঠানামা চলছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে ঠিকই। কিন্তু গত ছয় বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রীদের।
সরেজমিনে জানা যায়, চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীপাড়ে ছিল মূল লঞ্চ টার্মিনাল। গত ২০০১ সালে নদীভাঙনের টার্মিনালটি বিলীন হয়। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ২২ বছর। কিন্তু নির্মাণ হয়নি নতুন টার্মিনাল। ফলে শহরের মেঘনাপাড়ের মাদ্রাসা সড়ক এলাকায় বিকল্প লঞ্চ টার্মিনাল। সেখান দিয়ে ওঠানামা করছেন লঞ্চ যাত্রীরা। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলা এই টার্মিনালে ঝুঁকি আর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পথ চলতে হয়। নেই যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার ও শৌচাগারও। এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ টার্মিনালে অপেক্ষামাণ যাত্রীদের রোদবৃষ্টি ঝড়ের কবলে পড়তে হয়। নতুন লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণের জন্য দরপত্রের কাজও শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু গত ছয় বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত লঞ্চ টার্মিনাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষএর (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নলেজে ছিল। আশা করি, প্রকল্পটি এবার আলোর মুখ দেখবে।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, টার্মিনাল নির্মাণ না হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে খুব দ্রুতই নতুন টার্মিনাল নির্মিত হবে।
গত ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে নতুন লঞ্চ টার্মিনালের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যয় বাড়িয়ে তা ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।