Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ‘এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের শুভ সূচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য বলেন।

তিনি বলেন, আজ আমি শেখ হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প এমআরটি লাইনের একটা মাইলস্টোন অতিক্রম করতে যাচ্ছি। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আজ প্রথম ট্রায়াল রান হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের এটাই আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আমরা আরও পাঁচটি লাইন এনেছি। আপনারা জানেন, পাতালরেলের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ছয়টি মেট্রোরেল ঢাকায় যুক্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। এই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের ডিপো উদ্বোধন করতে গিয়ে আমরা নির্মাণকাজে একটা ঝড়ের মধ্যে পড়েছিলাম। যে ঝড়ে আমাদের সমস্ত আয়োজন তছনছ হওয়ার অবস্থা। সেদিন একটু বিষণ্ণবোধ করেছিলাম। কিছুটা হতাশাও ছিল। যা পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়ও পড়তে হয়েছিল। যদিও আমাদের ইতিহাস এগিয়ে যাওয়ার, এখানেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, এখন থেকে মেট্রোরেলের চলাচল নিয়মিত প্রত্যক্ষ করা যাবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ প্রান্তে আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী এই অংশের মেট্রোরেল চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, শুরুতে ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল এ তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাস্তবতার ভিত্তিতে স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তখন থেকে ঢাকা মহানগরবাসী নিরবচ্ছিন্নভাবে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা করছি। সেই লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমটিসিএল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৭০ হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন। এ সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এতে এখন দৈনিক গড়ে আয় হচ্ছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা মাত্র। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ এর আওতায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার চারটি মেট্রোরেল লাইন বাস্তবায়ন করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে এ অংশে আপনারা মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল নিয়মিত প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। আগামী অক্টোবরের শেষ প্রধানমন্ত্রী এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। এ লক্ষ্যে আজ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সব টেস্ট চলতে থাকবে। এ টেস্টগুলো শুক্রবার দিনে এবং অন্যান্য দিন রাতে করা হবে। টেস্টগুলো চলাকালীন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শুধু রাজনীতি করলেই হয় না, ভিশন থাকতে হয়। কোনো প্রকল্প নিতে গেলে পরিকল্পনা থাকতে হয়। এজন্য শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রকল্প একে একে উদ্বোধন করছেন। সরকার এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণকে দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এসব সম্ভব। একবছর আগেও জনগণ ভাবতে পারেনি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, মেট্রোরেল চলবে। কিন্তু এসব সম্ভব হয়েছে।

এ সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে যাত্রী চলাচল অক্টোবরেই শুরুর ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, টেস্ট রান শেষে অক্টোবরেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে যাত্রী চলাচল শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। তখন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল চলতে পারবে। প্রথমে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যাত্রী চলাচল শুরু হবে।

তিনি বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে টেস্ট চলাচলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৯৫ ভাগ। ইলেকট্রনিক, মেকানিকেল কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ২৪ শতাংশ। বিজয় সরণি স্টেশনের ৯৭ শতাংশ, ফার্মগেট স্টেশনের ৯৮ শতাংশ, কারওয়ান বাজার স্টেশনের ৯৫ শতাংশ, শাহবাগ স্টেশনের ৯৪ শতাংশ, ঢাবি স্টেশনের ৯৭ শতাংশ, সচিবালয় স্টেশনের ৯৬ শতাংশ ও মতিঝিল স্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। বর্তমানে দৈনিক ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ২৬ লাখ টাকা আয় করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের এ সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ডিএমটিসিএলের আওতায় ছয়টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা-২০৩০ গ্রহণ করেছে। এ কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময় সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৭টি স্টেশন বিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী জনসম্মুখে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেছেন। এখন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করছে মেট্রো ট্রেন।

সড়কমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, এমআরটি-৬ বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি লাইনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এরমধ্যে পাতাল রেলও রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। বর্তমানে এমআরটি-১, এমআরটি-২, এমআরটি-৬, এমআরটি-৫ লাইনের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের কাজ চলমান। এমআরটি লাইন-২ ও এমআরটি লাইন-৪ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্যে উন্নয়ন সংস্থা খোঁজা হচ্ছে।

এই সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকার কাজের মাধ্যমে বারবার প্রমাণ করেছে—তারা শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন না। শেখ হাসিনা সরকারের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা। আর আগামী অক্টোবরের শেষে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করা হবে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচলের উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এন সিদ্দিক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ‘এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের শুভ সূচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য বলেন।

তিনি বলেন, আজ আমি শেখ হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প এমআরটি লাইনের একটা মাইলস্টোন অতিক্রম করতে যাচ্ছি। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আজ প্রথম ট্রায়াল রান হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের এটাই আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আমরা আরও পাঁচটি লাইন এনেছি। আপনারা জানেন, পাতালরেলের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ছয়টি মেট্রোরেল ঢাকায় যুক্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। এই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের ডিপো উদ্বোধন করতে গিয়ে আমরা নির্মাণকাজে একটা ঝড়ের মধ্যে পড়েছিলাম। যে ঝড়ে আমাদের সমস্ত আয়োজন তছনছ হওয়ার অবস্থা। সেদিন একটু বিষণ্ণবোধ করেছিলাম। কিছুটা হতাশাও ছিল। যা পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়ও পড়তে হয়েছিল। যদিও আমাদের ইতিহাস এগিয়ে যাওয়ার, এখানেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, এখন থেকে মেট্রোরেলের চলাচল নিয়মিত প্রত্যক্ষ করা যাবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ প্রান্তে আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী এই অংশের মেট্রোরেল চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, শুরুতে ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল এ তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাস্তবতার ভিত্তিতে স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তখন থেকে ঢাকা মহানগরবাসী নিরবচ্ছিন্নভাবে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা করছি। সেই লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমটিসিএল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৭০ হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন। এ সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এতে এখন দৈনিক গড়ে আয় হচ্ছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা মাত্র। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ এর আওতায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার চারটি মেট্রোরেল লাইন বাস্তবায়ন করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে এ অংশে আপনারা মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল নিয়মিত প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। আগামী অক্টোবরের শেষ প্রধানমন্ত্রী এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। এ লক্ষ্যে আজ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সব টেস্ট চলতে থাকবে। এ টেস্টগুলো শুক্রবার দিনে এবং অন্যান্য দিন রাতে করা হবে। টেস্টগুলো চলাকালীন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শুধু রাজনীতি করলেই হয় না, ভিশন থাকতে হয়। কোনো প্রকল্প নিতে গেলে পরিকল্পনা থাকতে হয়। এজন্য শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রকল্প একে একে উদ্বোধন করছেন। সরকার এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণকে দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এসব সম্ভব। একবছর আগেও জনগণ ভাবতে পারেনি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, মেট্রোরেল চলবে। কিন্তু এসব সম্ভব হয়েছে।

এ সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে যাত্রী চলাচল অক্টোবরেই শুরুর ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, টেস্ট রান শেষে অক্টোবরেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে যাত্রী চলাচল শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। তখন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল চলতে পারবে। প্রথমে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যাত্রী চলাচল শুরু হবে।

তিনি বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে টেস্ট চলাচলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৯৫ ভাগ। ইলেকট্রনিক, মেকানিকেল কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ২৪ শতাংশ। বিজয় সরণি স্টেশনের ৯৭ শতাংশ, ফার্মগেট স্টেশনের ৯৮ শতাংশ, কারওয়ান বাজার স্টেশনের ৯৫ শতাংশ, শাহবাগ স্টেশনের ৯৪ শতাংশ, ঢাবি স্টেশনের ৯৭ শতাংশ, সচিবালয় স্টেশনের ৯৬ শতাংশ ও মতিঝিল স্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। বর্তমানে দৈনিক ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ২৬ লাখ টাকা আয় করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের এ সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ডিএমটিসিএলের আওতায় ছয়টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা-২০৩০ গ্রহণ করেছে। এ কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময় সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৭টি স্টেশন বিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী জনসম্মুখে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেছেন। এখন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করছে মেট্রো ট্রেন।

সড়কমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, এমআরটি-৬ বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি লাইনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এরমধ্যে পাতাল রেলও রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। বর্তমানে এমআরটি-১, এমআরটি-২, এমআরটি-৬, এমআরটি-৫ লাইনের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের কাজ চলমান। এমআরটি লাইন-২ ও এমআরটি লাইন-৪ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্যে উন্নয়ন সংস্থা খোঁজা হচ্ছে।

এই সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকার কাজের মাধ্যমে বারবার প্রমাণ করেছে—তারা শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন না। শেখ হাসিনা সরকারের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা। আর আগামী অক্টোবরের শেষে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করা হবে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচলের উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এন সিদ্দিক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।