অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এলজিইডির আয়রন ব্রিজের মাঝে গর্তের স্থানে কাঠের পাটাতন দিয়ে ১০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ গ্রামের লোকজন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যানবাহন। ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। স্থানীয় ও চলাচলকারীরা দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েন।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা-তালের বাজার সড়কের ভদ্রপাড়ার ওয়াপদা খালের উপর দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্বে এলজিইডি বিভাগ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ঢালাই আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের ২০ বছর পর আয়রন ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই ভেঙ্গে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয় ও দু’পাশের রেলিং ভেঙ্গে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে। ঢালাইয়ের বেশকিছু জায়গা ভেঙ্গে পরার পরে উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে স্থানীয়রা জানালেও তারা সংস্কারের উদ্যেগ গ্রহণ না করায় স্থানীয়রা গর্তের মাঝে একাধিবার কাঠের তক্তা দিয়ে মেরামত করে চলাচল করছে। আয়রন ব্রিজটির অধিকাংশ স্থানই বর্তমানে কাঠের পাটাতন দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, লোকজন ও ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ব্রিজটি দিয়ে ভদ্রপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ গৈলা, তালের বাজার, নাগার, চাপাচুপা, বরিয়ালী, রামের বাজার, তালতারমাঠ, দীঘিবালী, মোল্লাপাড়া, মোহনকাঠী, টেমার, দক্ষিণ শিহিপাশাসহ ২০টি গ্রামের লোকজন চলাচল করছে। ওই ব্রিজ দিয়ে রাতের অন্ধকারে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।
ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী ভ্যানচালক সুব্রত হালদার, ছিন্টু মিয়া বলেন, প্রতিদিন লোকজন ও মালামাল নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করে মাঝে মধ্যে দূর্ঘটনার শিকারও হচ্ছি।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান সরদার, ব্যবসায়ী সিরাজ সরদার জানান, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১০ বছর পূর্বে ব্রিজের মাঝে গর্ত হয় এবং রেলিং ভেঙ্গে যায়। আমরা স্থানীয়রা গর্তের মাঝে কাঠ দিয়ে একাধিকবার মেরামত করায় কোন রকমে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল করছে। আমরা ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ওই ব্রিজটি পুন:নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ঢাকার এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয় থেকে আইবিআরপি প্রকল্পের পরিচালক শরীফ মো. জামাল উদ্দিন সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছিলেন। ডিজাইন (নকশা) এর কাজ শেষ হওয়ার পরে বরিশাল অফিস থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।