Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ আগস্ট জঙ্গি হামলা বা নাশকতার হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলা বা অন্য কোনো নাশকতার হুমকি নেই। তারপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং থাকবে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, যকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে অন্যবারের তুলনায় বেশি লোকের সমাগম হবে। এজন্য শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করে প্রবেশ করানো হবে।

তিনি বলেন, শোক দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা জানাবেন। সেই দিকটি বিবেচনা করে দুই স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা এবং জনগণের জমায়েতের জন্য আরেক ধরনের নিরাপত্তা। মহাসড়কেও যানবাহন চলাচলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জাতীয় শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আশপাশের প্রতিটি জায়গা নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে রয়েছে। কয়েকদিন ধরে আশপাশে যত মেস-হোটেল রয়েছে, প্রতিদিন রাতে প্রতিটিতে একাধিকবার আমরা নিরাপত্তার জন্য তল্লাশি করি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যাওয়ার পর মূলত আমরা এখানে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। এজন্য দুই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন তাদেরকে অনুরোধ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ব্যাগ, চাকু কিংবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে আসবেন না। প্রত্যেকটি লোককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে চেকিং করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। গেটে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে তা দিয়ে চেক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, মেস, হোটেল ও আবাসিক এলাকায় চেক করা হচ্ছে। কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারী আশ্রয়-প্রশ্রয় নিয়েছে কি না। নির্বাচনের বছরে কেউ যাতে কোনো নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে-পুলিশকে বিব্রত করতে না পারে।

সাইবার ওয়ার্ল্ডে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সিটিটিসি ও ডিবির সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে কোনো হুমকি আছে কি না। সার্বিকভাবে আমরা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি আশা করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তারা নিরাপত্তার সহিত শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

গোলাম ফারুক বলেন, দেশে জঙ্গি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি। কয়েকদিন আগেও সিলেটে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই দিক বিবেচনা করে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা না থাকলেও কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে ব্লক রেইড চলছে। বিভিন্ন হোটেল, মেস এবং বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে, যেন কোনো দুষ্কৃতিকারী কোথাও আশ্রয় নিতে না পারে।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৫ আগস্ট জঙ্গি হামলা বা নাশকতার হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ১২:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলা বা অন্য কোনো নাশকতার হুমকি নেই। তারপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং থাকবে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, যকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে অন্যবারের তুলনায় বেশি লোকের সমাগম হবে। এজন্য শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করে প্রবেশ করানো হবে।

তিনি বলেন, শোক দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা জানাবেন। সেই দিকটি বিবেচনা করে দুই স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা এবং জনগণের জমায়েতের জন্য আরেক ধরনের নিরাপত্তা। মহাসড়কেও যানবাহন চলাচলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জাতীয় শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আশপাশের প্রতিটি জায়গা নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে রয়েছে। কয়েকদিন ধরে আশপাশে যত মেস-হোটেল রয়েছে, প্রতিদিন রাতে প্রতিটিতে একাধিকবার আমরা নিরাপত্তার জন্য তল্লাশি করি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যাওয়ার পর মূলত আমরা এখানে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। এজন্য দুই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন তাদেরকে অনুরোধ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ব্যাগ, চাকু কিংবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে আসবেন না। প্রত্যেকটি লোককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে চেকিং করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। গেটে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে তা দিয়ে চেক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, মেস, হোটেল ও আবাসিক এলাকায় চেক করা হচ্ছে। কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারী আশ্রয়-প্রশ্রয় নিয়েছে কি না। নির্বাচনের বছরে কেউ যাতে কোনো নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে-পুলিশকে বিব্রত করতে না পারে।

সাইবার ওয়ার্ল্ডে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সিটিটিসি ও ডিবির সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে কোনো হুমকি আছে কি না। সার্বিকভাবে আমরা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি আশা করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তারা নিরাপত্তার সহিত শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

গোলাম ফারুক বলেন, দেশে জঙ্গি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি। কয়েকদিন আগেও সিলেটে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই দিক বিবেচনা করে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা না থাকলেও কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে ব্লক রেইড চলছে। বিভিন্ন হোটেল, মেস এবং বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে, যেন কোনো দুষ্কৃতিকারী কোথাও আশ্রয় নিতে না পারে।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।