Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে, অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেই প্রস্তাবটি প্রকাশ করেছে। এতে হামাস তিন ধাপের বিরতির কথা বলেছে। তিনটি ধাপ শেষ হওয়ার পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

হামাসের দেওয়া প্রস্তাবের একটি নথি হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নথিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪৫ দিনে হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি নারী, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। এই ধাপে, গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

আর এই তিনটি ধাপের প্রত্যেকটির মেয়াদ হবে ৪৫ দিন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে। আর এই সময়ের মধ্যে সব জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে, সব ইসরাইলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং মরদেহ আদান-প্রদান করা হবে।

হামাসের প্রস্তাবে বলা আছে-প্রথম ধাপে তারা সব নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং ১৯ বছরের নিচের সব পুরুষকে মুক্তি দেবে।

দ্বিতীয় ধাপে সব পুরুষ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তৃতীয় ধাপে মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপ শেষে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষ সম্মত হবে।

হামাস দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরাইলকে ১ হাজার ৫০০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যার এক-তৃতীয়াংশ হবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। হামাস দাবি করেছে, প্রতিদিন গাজায় অন্তত ৫০০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আ. লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটাধিকার নিষিদ্ধ নয় : ফাওজুল কবির

১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

প্রকাশের সময় : ১১:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে, অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেই প্রস্তাবটি প্রকাশ করেছে। এতে হামাস তিন ধাপের বিরতির কথা বলেছে। তিনটি ধাপ শেষ হওয়ার পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

হামাসের দেওয়া প্রস্তাবের একটি নথি হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নথিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪৫ দিনে হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি নারী, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। এই ধাপে, গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

আর এই তিনটি ধাপের প্রত্যেকটির মেয়াদ হবে ৪৫ দিন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে। আর এই সময়ের মধ্যে সব জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে, সব ইসরাইলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং মরদেহ আদান-প্রদান করা হবে।

হামাসের প্রস্তাবে বলা আছে-প্রথম ধাপে তারা সব নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং ১৯ বছরের নিচের সব পুরুষকে মুক্তি দেবে।

দ্বিতীয় ধাপে সব পুরুষ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তৃতীয় ধাপে মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপ শেষে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষ সম্মত হবে।

হামাস দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরাইলকে ১ হাজার ৫০০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যার এক-তৃতীয়াংশ হবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। হামাস দাবি করেছে, প্রতিদিন গাজায় অন্তত ৫০০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।