Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ফের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লাওতারো মার্তিনেজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় সিমোনে ইনজাগির দল। তবে প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জেতা দলটি ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে সান সিরোয় এ জয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার। সেবারই নিজেদের তৃতীয় ও শেষ শিরোপা জিতেছিল তারা।

যদিও প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়া মিলান এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে। আর ইন্টারের মনোযোগ ছিল প্রতি-আক্রমণে। যেখানে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো মিলান। ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। ঠিকভাবে হয়তো দেখতেও পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। জায়গা থেকেই নড়েননি তিনি।

ইন্টার পাঁচ মিনিট পর ফের বড় বাঁচা বেঁচে যায়। অলিভিয়ে জিরুদের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ওনানা। ফাঁকা জালে বল প্রায় পাঠিয়েই দিচ্ছিলেন ব্রাহিম দিয়াস। প্রায় গোললাইন থেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন মাত্তেও দারমিয়ান।

আক্রমণের মতো লক্ষ্যে প্রথম শটও নেয় মিলান। ১১ মিনিটে বক্সের সেন্টার থেকে ব্রাহিম দিয়াজের ডান পায়ের শট রুখে দেন ইন্টার কিপার ওনানা। এডিন জেকোর বাড়ানো বলে প্রথম শটে ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন মিখিতারিয়ান। পরের মুহূর্তেই তার শট প্রতিপক্ষের বক্সে ব্লকড হয়। আধঘণ্টা যেতেই ক্রুনিচ প্রতিহত করেন লাউতারো মার্তিনেজের শট।

২৪তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যেতে পারতো ইন্টার। কিন্তু হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

৩৭ মিনিটে গোলের খুব কাছে ছিল মিলান। গোলমুখের সামনে থেকে রাফায়েল লিয়াওয়েল বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শট জাল খুঁজে পায়নি।

পরের মিনিটে ইন্টার গোলের পরিষ্কার সুযোগ পায়। হাকান কালহানোগলুর ক্রসে লক্ষ্যে নেওয়া মার্তিনেজের শক্তিশালী হেড রুখে দিয়ে স্কোর গোলশূন্য রাখেন রোসোনেরি কিপার মাইক মাইগনান। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণের গতি বজায় রাখে মিলান। কিন্তু তাদের আক্রমণের ঝাপটা অনায়াসেই সামাল দিতে থাকে ইন্টার। ৭৪তম মিনিটে এই অর্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। প্রতি-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি মার্তিনেস। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

বাকি সময়ে এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি এসি মিলান। তাতে ইন্টার মিলানের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিলো রেড অ্যান্ড ব্ল্যাকরা।

ম্যাচের পর মার্টিনেজ বলেন, এই ম্যাচের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িত। আমি এটা অনুভব করি। দুই ম্যাচেই আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। দলের মধ্যে একতা আমাদেরকে খুব অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশ্বকাপেও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কাছে ঐক্যবদ্ধ একটি দল থাকে, তাহলে সব কাজ সহজ হয়ে যায়। আমরা ইন্টারমিলানে সেটা দেখিয়েছি এবং এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য।

এসি মিলানের বিপক্ষে ফিরতি লেগের এই ম্যাচে ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি একাদশে কোনো পরিবর্তনই আনেননি। আগের ম্যাচে যে দলটি খেলেছিলো, সে দলটিকেই মাঠে নামান। এর অর্থ, মার্টিনেজ এবং এডিন জেকো ছিলেন সবার সামনে। যে কারণে ইন্টারের আক্রমণের ধারও ছিল বেশি এবং শেষ পর্যন্ত গোলও বের করে আনতে সক্ষম হয় তারা।

এই হারে ২০০৪-০৫ মৌসুমের পর প্রথম ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে লড়াইয়ে নামা এসি মিলানের অপেক্ষা আরও বাড়ল।

বুধবার (১৭ মে) তুরস্কের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজকে অদপস্ত ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে : নাহিদ ইসলাম

১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ফের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লাওতারো মার্তিনেজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় সিমোনে ইনজাগির দল। তবে প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জেতা দলটি ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে সান সিরোয় এ জয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার। সেবারই নিজেদের তৃতীয় ও শেষ শিরোপা জিতেছিল তারা।

যদিও প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়া মিলান এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে। আর ইন্টারের মনোযোগ ছিল প্রতি-আক্রমণে। যেখানে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো মিলান। ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। ঠিকভাবে হয়তো দেখতেও পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। জায়গা থেকেই নড়েননি তিনি।

ইন্টার পাঁচ মিনিট পর ফের বড় বাঁচা বেঁচে যায়। অলিভিয়ে জিরুদের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ওনানা। ফাঁকা জালে বল প্রায় পাঠিয়েই দিচ্ছিলেন ব্রাহিম দিয়াস। প্রায় গোললাইন থেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন মাত্তেও দারমিয়ান।

আক্রমণের মতো লক্ষ্যে প্রথম শটও নেয় মিলান। ১১ মিনিটে বক্সের সেন্টার থেকে ব্রাহিম দিয়াজের ডান পায়ের শট রুখে দেন ইন্টার কিপার ওনানা। এডিন জেকোর বাড়ানো বলে প্রথম শটে ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন মিখিতারিয়ান। পরের মুহূর্তেই তার শট প্রতিপক্ষের বক্সে ব্লকড হয়। আধঘণ্টা যেতেই ক্রুনিচ প্রতিহত করেন লাউতারো মার্তিনেজের শট।

২৪তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যেতে পারতো ইন্টার। কিন্তু হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

৩৭ মিনিটে গোলের খুব কাছে ছিল মিলান। গোলমুখের সামনে থেকে রাফায়েল লিয়াওয়েল বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শট জাল খুঁজে পায়নি।

পরের মিনিটে ইন্টার গোলের পরিষ্কার সুযোগ পায়। হাকান কালহানোগলুর ক্রসে লক্ষ্যে নেওয়া মার্তিনেজের শক্তিশালী হেড রুখে দিয়ে স্কোর গোলশূন্য রাখেন রোসোনেরি কিপার মাইক মাইগনান। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণের গতি বজায় রাখে মিলান। কিন্তু তাদের আক্রমণের ঝাপটা অনায়াসেই সামাল দিতে থাকে ইন্টার। ৭৪তম মিনিটে এই অর্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। প্রতি-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি মার্তিনেস। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

বাকি সময়ে এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি এসি মিলান। তাতে ইন্টার মিলানের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিলো রেড অ্যান্ড ব্ল্যাকরা।

ম্যাচের পর মার্টিনেজ বলেন, এই ম্যাচের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িত। আমি এটা অনুভব করি। দুই ম্যাচেই আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। দলের মধ্যে একতা আমাদেরকে খুব অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশ্বকাপেও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কাছে ঐক্যবদ্ধ একটি দল থাকে, তাহলে সব কাজ সহজ হয়ে যায়। আমরা ইন্টারমিলানে সেটা দেখিয়েছি এবং এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য।

এসি মিলানের বিপক্ষে ফিরতি লেগের এই ম্যাচে ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি একাদশে কোনো পরিবর্তনই আনেননি। আগের ম্যাচে যে দলটি খেলেছিলো, সে দলটিকেই মাঠে নামান। এর অর্থ, মার্টিনেজ এবং এডিন জেকো ছিলেন সবার সামনে। যে কারণে ইন্টারের আক্রমণের ধারও ছিল বেশি এবং শেষ পর্যন্ত গোলও বের করে আনতে সক্ষম হয় তারা।

এই হারে ২০০৪-০৫ মৌসুমের পর প্রথম ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে লড়াইয়ে নামা এসি মিলানের অপেক্ষা আরও বাড়ল।

বুধবার (১৭ মে) তুরস্কের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।