Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২৩ বিজিপি সেনার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অস্থিরতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এবং সেনার ১২৩ সদস্যকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের বিনিময়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ থেকে একটি বোটে করে ৮৫ বাংলাদেশিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটি এ ঘাটে আনা হয়। পরে একই বোটে ফেরত পাঠানো হয় ১২৩ মিয়ানমার নাগরিককে।

এর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দর থেকে শনিবার ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। এর মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, তিনজন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন।

প্রত্যাবর্তনকারীদের বাড়ি কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলায়।

রোববার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২৩ বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় পাঁচটি বাসে করে টেকনাফের দমদমিয়া থেকে মিয়ানমারের ১২৩ জন নাগরিককে কক্সবাজার ঘাটে আনা হয়। যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে তাদের মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীরা কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

এ নিয়ে গত ১৫ মাসে মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বমোট ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন ৪৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেন। ওই দিন মিয়ানমার ফেরত যান ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য, ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নিজের অতিথিদের থাপড়াতে চাইলেন পরীমণি!

১২৩ বিজিপি সেনার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি

প্রকাশের সময় : ০২:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অস্থিরতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এবং সেনার ১২৩ সদস্যকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের বিনিময়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ থেকে একটি বোটে করে ৮৫ বাংলাদেশিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটি এ ঘাটে আনা হয়। পরে একই বোটে ফেরত পাঠানো হয় ১২৩ মিয়ানমার নাগরিককে।

এর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দর থেকে শনিবার ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। এর মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, তিনজন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন।

প্রত্যাবর্তনকারীদের বাড়ি কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলায়।

রোববার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২৩ বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় পাঁচটি বাসে করে টেকনাফের দমদমিয়া থেকে মিয়ানমারের ১২৩ জন নাগরিককে কক্সবাজার ঘাটে আনা হয়। যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে তাদের মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীরা কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

এ নিয়ে গত ১৫ মাসে মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বমোট ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন ৪৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেন। ওই দিন মিয়ানমার ফেরত যান ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য, ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।