Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ মাস পর আবারো দেশে এলো ৩৭ মেট্রিকটন কাঁচামরিচ

বেনাপোল উপজেলা প্রতিনিধি : 

দেশে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মাস পর আবারও ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) বিকালে দেশের ৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৫টি ট্রাকে ৩৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

মরিচ আমদানিকারকরা হলেন রাজ এন্টার প্রাইজ, শিমু এন্টার প্রাইজ। ভারতের রফতানিকারক সেঞ্চুরি প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে মরিচ যাবে ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বন্দর সূত্রে জানায়, প্রতি মেট্রিক টন ২৩৮ ইউএস ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে ১১০ টাকা। তবে আমদানি শুল্ক কমলে মরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলছেন আমদানিকারকরা।

এদিকে, আমদানিকৃত মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায়, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। আমদানির খবরে একদিনেই বন্দর এলাকার খোলা বাজারে মরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশে কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।

সাধারণ ক্রেতা মফিজুর রহমান জানান, ২০০ টাকায় কাঁচামরিচ কেজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন আমদানি শুরু হয়েছে দাম কমতে শুরু করেছে।
ক্রেতা কামাল হোসেন জানান, মরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কোনো কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।

বেনাপোল বন্দরে খাদ্য দ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেন সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

১০ মাস পর আবারো দেশে এলো ৩৭ মেট্রিকটন কাঁচামরিচ

প্রকাশের সময় : ১১:১৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বেনাপোল উপজেলা প্রতিনিধি : 

দেশে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মাস পর আবারও ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) বিকালে দেশের ৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৫টি ট্রাকে ৩৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

মরিচ আমদানিকারকরা হলেন রাজ এন্টার প্রাইজ, শিমু এন্টার প্রাইজ। ভারতের রফতানিকারক সেঞ্চুরি প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে মরিচ যাবে ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বন্দর সূত্রে জানায়, প্রতি মেট্রিক টন ২৩৮ ইউএস ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে ১১০ টাকা। তবে আমদানি শুল্ক কমলে মরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলছেন আমদানিকারকরা।

এদিকে, আমদানিকৃত মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায়, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। আমদানির খবরে একদিনেই বন্দর এলাকার খোলা বাজারে মরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশে কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।

সাধারণ ক্রেতা মফিজুর রহমান জানান, ২০০ টাকায় কাঁচামরিচ কেজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন আমদানি শুরু হয়েছে দাম কমতে শুরু করেছে।
ক্রেতা কামাল হোসেন জানান, মরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কোনো কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।

বেনাপোল বন্দরে খাদ্য দ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেন সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।