Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের সময় থেকে টানা ব্যর্থতায় ঘেরা সময় পার করছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে তারা একই ফলের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির দল।

সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারের পর অবশেষে ক্রাইস্টচার্চে আজ নিজেদের জয়খরা কাটাতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপের সময় থেকে টানা ব্যর্থতায় ঘেরা সময় পার করছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে তারা একই ফলের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির দল। যদিও ১৩৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে কিউইদের চ্যালেঞ্জ জানানো কঠিন ছিল পাকিস্তানি বোলারদের জন্য। সেখানে অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদের ঘূর্ণিতে সফরকারীরা ৪২ রানের জয় পেয়েছে।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আজও অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি ম্যান ইন গ্রিনদের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই টিম সাউদির বলে গ্লেন ফিলিপ্সের মুঠোবন্দী হয়ে বিদায় নেন ওপেনার হাসিবুল্লাহ খান। এরপর ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী হন বাবর আজম। এ দুজন মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। তবে বাবর আজ নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ১৩ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন ফখর জামান। ১৬ বলে ৪ছয় আর ১ চারের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। রিজওয়ানের ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।

১৩৫ রানের রানতাড়ায় খেই হারিয়েছে স্বাগতিক কিউইরা। এই ম্যাচে ড্যারিল মিচেলকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশে নেওয়া হয়েছিল রাচিন রবীন্দ্রকে। কিন্তু সাময়িক বিরতির পর নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে স্পিনার নওয়াজের বলে খেলতে গিয়ে রাচিনের শট ওপরে ওঠে যায়। ১ রানে থাকা বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের ক্যাচ নেন জামান খান। পরবর্তীতে পাকিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তাদের বড় কোনো জুটি গড়েনি।

আগ্রাসী মেজাজের টিম সেইফার্ট অনেক্ষণ ক্রিজে সংগ্রাম করলেও, রান পেয়েছেন টেস্ট মেজাজে। ৩০ বলে ১৯ রান করে ইফতিখারের বলে এলবিডব্লুউ হন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৪ এবং তৃতীয়টিতে সেঞ্চুরি পাওয়া ফিন অ্যালেনও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২২ করে ফিরেছেন জামানের বলে। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে ফিলিপসের ব্যাটে। ২২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় তিনি করেছেন ২৬ রান। এছাড়া উইল ইয়াংয়ের ১২ রান ছাড়া আর কোনো স্বাগতিক ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ইফতিখার। এছাড়া শাহিন ও নওয়াজ দুটি করে এবং জামান ও উসামা মির একটি করে শিকার করেছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ওপেনিংয়ে সাইম আইয়ুবকে সরিয়ে এদিন খেলায় হাসিবুল্লাহ খানকে। অভিষেক ম্যাচ জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। টিম সাউদির বলে ফিরেছেন শূন্য রানেই। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান, যদিও সেটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলে নয়। এই জুটি ৫৩ রান তুলতে বল খরচ করেছে ৫৬টি। দুবার ‘জীবন’ পেয়েও বাবর ১৩ রান করে আউট হন ২৪ বল খেলে।

বাবর আউট হওয়ার পর ফখর জামানকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। এই ৩৫ রানের জুটিতে ১৬ বলে ৩৩ রানই আসে ফখরের ব্যাট থেকে। দলীয় ৮৮ রানে ফখর আউট হওয়ার পর ৯১ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ৩৮ বলে ৩৮ রান করা রিজওয়ানও দলীয় ৯১ রানেই পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। সেখান থেকে পাকিস্তানের রান ১৩৪-এ গেছে শাহিবজাদা ফারহানের ১৪ বলে ১৯ ও আব্বাস আফ্রিদির ৬ বলে ১৪ রানে। সাউদি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি প্রত্যেকে ২টি উইকেট নিয়েছেন।

বোলারদের ম্যাচে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইফতিখার। ৫ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ২৭৫ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের সময় থেকে টানা ব্যর্থতায় ঘেরা সময় পার করছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে তারা একই ফলের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির দল।

সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারের পর অবশেষে ক্রাইস্টচার্চে আজ নিজেদের জয়খরা কাটাতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপের সময় থেকে টানা ব্যর্থতায় ঘেরা সময় পার করছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে তারা একই ফলের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির দল। যদিও ১৩৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে কিউইদের চ্যালেঞ্জ জানানো কঠিন ছিল পাকিস্তানি বোলারদের জন্য। সেখানে অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদের ঘূর্ণিতে সফরকারীরা ৪২ রানের জয় পেয়েছে।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আজও অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি ম্যান ইন গ্রিনদের। ইনিংসের তৃতীয় বলেই টিম সাউদির বলে গ্লেন ফিলিপ্সের মুঠোবন্দী হয়ে বিদায় নেন ওপেনার হাসিবুল্লাহ খান। এরপর ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী হন বাবর আজম। এ দুজন মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। তবে বাবর আজ নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ১৩ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন ফখর জামান। ১৬ বলে ৪ছয় আর ১ চারের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। রিজওয়ানের ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।

১৩৫ রানের রানতাড়ায় খেই হারিয়েছে স্বাগতিক কিউইরা। এই ম্যাচে ড্যারিল মিচেলকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশে নেওয়া হয়েছিল রাচিন রবীন্দ্রকে। কিন্তু সাময়িক বিরতির পর নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে স্পিনার নওয়াজের বলে খেলতে গিয়ে রাচিনের শট ওপরে ওঠে যায়। ১ রানে থাকা বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের ক্যাচ নেন জামান খান। পরবর্তীতে পাকিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তাদের বড় কোনো জুটি গড়েনি।

আগ্রাসী মেজাজের টিম সেইফার্ট অনেক্ষণ ক্রিজে সংগ্রাম করলেও, রান পেয়েছেন টেস্ট মেজাজে। ৩০ বলে ১৯ রান করে ইফতিখারের বলে এলবিডব্লুউ হন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৪ এবং তৃতীয়টিতে সেঞ্চুরি পাওয়া ফিন অ্যালেনও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২২ করে ফিরেছেন জামানের বলে। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে ফিলিপসের ব্যাটে। ২২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় তিনি করেছেন ২৬ রান। এছাড়া উইল ইয়াংয়ের ১২ রান ছাড়া আর কোনো স্বাগতিক ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ইফতিখার। এছাড়া শাহিন ও নওয়াজ দুটি করে এবং জামান ও উসামা মির একটি করে শিকার করেছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ওপেনিংয়ে সাইম আইয়ুবকে সরিয়ে এদিন খেলায় হাসিবুল্লাহ খানকে। অভিষেক ম্যাচ জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। টিম সাউদির বলে ফিরেছেন শূন্য রানেই। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান, যদিও সেটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলে নয়। এই জুটি ৫৩ রান তুলতে বল খরচ করেছে ৫৬টি। দুবার ‘জীবন’ পেয়েও বাবর ১৩ রান করে আউট হন ২৪ বল খেলে।

বাবর আউট হওয়ার পর ফখর জামানকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। এই ৩৫ রানের জুটিতে ১৬ বলে ৩৩ রানই আসে ফখরের ব্যাট থেকে। দলীয় ৮৮ রানে ফখর আউট হওয়ার পর ৯১ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ৩৮ বলে ৩৮ রান করা রিজওয়ানও দলীয় ৯১ রানেই পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। সেখান থেকে পাকিস্তানের রান ১৩৪-এ গেছে শাহিবজাদা ফারহানের ১৪ বলে ১৯ ও আব্বাস আফ্রিদির ৬ বলে ১৪ রানে। সাউদি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি প্রত্যেকে ২টি উইকেট নিয়েছেন।

বোলারদের ম্যাচে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইফতিখার। ৫ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ২৭৫ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন।