আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লা নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর আরও ১১ কর্মকর্তা ছিলেন। তার মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র দুজন।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লা কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য ৯ জন হলেন ব্রিগেডিয়ার সোয়াল সাইদি, কর্নেল ডানকান কিটানি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভিড সাওয়ে, মেজর জর্জ বেনসন মাগোন্ডু, ক্যাপ্টেন সোরা মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন হিলারি লিটালি, এসএনআর সার্জেন্ট জন কিনুয়া মুরেথি, সার্জেন্ট ক্লিফন্স ওমন্ডি এবং সার্জেন্ট রোজ ন্যাভিরা।
জানা গেছে, সামরিক প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। দেশের জন্য এমন ঘটনা খুবই দুঃখের— এমনটি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পর পরই বিধ্বস্ত হয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কেনিয়ার বিমানবাহিনী থেকে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিমানবাহিনীর কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে জেনারেল ওগোল্লাকে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রুটো। ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দেশের জন্য এটি গভীর শোকের এক মুহূর্ত।
রুটো বলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে তদন্তদল পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। সামরিক প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করবে কেনিয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে পূর্ব আফ্রিকার এ দেশটি।