Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হৃদয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ঢাকাকে টানা সপ্তম হারের লজ্জা দিলো কুমিল্লা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলের চলতি আসরে ২৬তম ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। তার অপরাজিত ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা। আর দুর্দান্ত ঢাকাকে টানা সপ্তম হারের লজ্জা দিলো তারা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন হৃদয়। তিনি ৫৭ বলে ৮ চার ও সাতটি ছয়ে এই রান করেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় কুমিল্লা। ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে কাঁটা পড়লে, ৯ রান করে রান আউট হন উইল জ্যাক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লা শিবিরে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। এরপর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট আউট হলে রানের গতি কিছুটা থেকে যায় কুমিল্লার।

রায়মোন রাইফার ৪ বলে ৬ রান আউট হলে, এক প্রান্ত আগলে রেখে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান।

১৮তম ওভারে শরিফুলকে সামালকে দিয়ে ১৫ রান তুলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেই হৃদয়। সেই সঙ্গে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ৫৭ বলে হার নামা ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। ১৩ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন দলটির লঙ্কান ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা।

তবে এরপর হাল ধরেন নাঈম ও সাইফ। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৯ রান। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৭ রান করেন সাইফ। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস। তবে দুজনেই একই ওভারে বিদায় নেন।

১৭তম ওভারে ম্যাথু ফোর্ডের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ। দুই বল পরেই হিট উইকেট হয়ে ফেরেন নাঈম। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে রিভার্স স্কুপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের ফলোথ্রুতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায়।

সাইফ ও নাঈমের বিদায়ের পর একই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন আন্দ্রে ম্যাকার্থিও। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। তবে শেষদিকে ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস খেলে ঢাকাকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন অ্যালেক্স রস। এর মধ্যে শেষ ওভারে তার দুই চার ও এক ছক্কায় আসে ১৮ রান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা।

কুমিল্লার সেরা বোলার ফর্ডে ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট পেয়েছেন আলিস ইসলাম। মোস্তাফিজ ছিলেন বিবর্ণ। ২ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

হৃদয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ঢাকাকে টানা সপ্তম হারের লজ্জা দিলো কুমিল্লা

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলের চলতি আসরে ২৬তম ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। তার অপরাজিত ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা। আর দুর্দান্ত ঢাকাকে টানা সপ্তম হারের লজ্জা দিলো তারা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন হৃদয়। তিনি ৫৭ বলে ৮ চার ও সাতটি ছয়ে এই রান করেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় কুমিল্লা। ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে কাঁটা পড়লে, ৯ রান করে রান আউট হন উইল জ্যাক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লা শিবিরে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। এরপর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট আউট হলে রানের গতি কিছুটা থেকে যায় কুমিল্লার।

রায়মোন রাইফার ৪ বলে ৬ রান আউট হলে, এক প্রান্ত আগলে রেখে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান।

১৮তম ওভারে শরিফুলকে সামালকে দিয়ে ১৫ রান তুলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেই হৃদয়। সেই সঙ্গে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ৫৭ বলে হার নামা ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। ১৩ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন দলটির লঙ্কান ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা।

তবে এরপর হাল ধরেন নাঈম ও সাইফ। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৯ রান। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৭ রান করেন সাইফ। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস। তবে দুজনেই একই ওভারে বিদায় নেন।

১৭তম ওভারে ম্যাথু ফোর্ডের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ। দুই বল পরেই হিট উইকেট হয়ে ফেরেন নাঈম। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে রিভার্স স্কুপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের ফলোথ্রুতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায়।

সাইফ ও নাঈমের বিদায়ের পর একই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন আন্দ্রে ম্যাকার্থিও। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। তবে শেষদিকে ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস খেলে ঢাকাকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন অ্যালেক্স রস। এর মধ্যে শেষ ওভারে তার দুই চার ও এক ছক্কায় আসে ১৮ রান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা।

কুমিল্লার সেরা বোলার ফর্ডে ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট পেয়েছেন আলিস ইসলাম। মোস্তাফিজ ছিলেন বিবর্ণ। ২ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান।