Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনাসহ আহত ১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রেশ কাটতে না কাটতে এবার হামলা চালালো লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির ছোড়া ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে ইসরায়েলের ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনই ইসরায়েলি সেনা ও চারজন বেসামরিক নাগরিক।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের আরব আল-আরামশি গ্রামে একটি কমিউনিটি সেন্টারের উপর ড্রোনটি বিস্ফোরিত হয়।

স্থানীয় গালিলি মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, এমন একটি ভবন লক্ষ্য করে তারা হামলাটি চালানো হয়েছে। হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এক দিন আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় দুই কমান্ডারসহ তিন সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সীমান্তের বসতিতে বেশ কয়েকটি আঘাত এসেছে। তবে হামলায় আহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো তথ্য দেয়নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে আক্রান্ত কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গাড়িতেও হামলা হয়েছে।

যুদ্ধে হিজবুল্লাহ পূর্ণশক্তি নিয়ে প্রবেশ করায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রায়লিউমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে তেল আবিব যখন উদ্বিগ্ন তখন এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার প্রবেশে অত্যন্ত চিন্তিত ইসরায়েলি নেতারা।

ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক রনেন বার্গম্যান বলেছেন, ইরান দুবার ইসরায়েলিদের মনে ভয় ধরাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমবার, যখন একটিও বুলেট না ছুড়েই মনস্তাত্ত্বিক এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছিল তারা এবং দ্বিতীয়বার, যখন ইরান সিরিয়ায় তার কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্ব একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি উচ্চারণ করেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। তবে ইরানে কবে ও কখন হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনাসহ আহত ১৮

প্রকাশের সময় : ১১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রেশ কাটতে না কাটতে এবার হামলা চালালো লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির ছোড়া ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে ইসরায়েলের ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনই ইসরায়েলি সেনা ও চারজন বেসামরিক নাগরিক।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের আরব আল-আরামশি গ্রামে একটি কমিউনিটি সেন্টারের উপর ড্রোনটি বিস্ফোরিত হয়।

স্থানীয় গালিলি মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, এমন একটি ভবন লক্ষ্য করে তারা হামলাটি চালানো হয়েছে। হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এক দিন আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় দুই কমান্ডারসহ তিন সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সীমান্তের বসতিতে বেশ কয়েকটি আঘাত এসেছে। তবে হামলায় আহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো তথ্য দেয়নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে আক্রান্ত কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গাড়িতেও হামলা হয়েছে।

যুদ্ধে হিজবুল্লাহ পূর্ণশক্তি নিয়ে প্রবেশ করায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রায়লিউমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে তেল আবিব যখন উদ্বিগ্ন তখন এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার প্রবেশে অত্যন্ত চিন্তিত ইসরায়েলি নেতারা।

ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক রনেন বার্গম্যান বলেছেন, ইরান দুবার ইসরায়েলিদের মনে ভয় ধরাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমবার, যখন একটিও বুলেট না ছুড়েই মনস্তাত্ত্বিক এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছিল তারা এবং দ্বিতীয়বার, যখন ইরান সিরিয়ায় তার কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্ব একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি উচ্চারণ করেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। তবে ইরানে কবে ও কখন হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।