Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি করবে পিআর পদ্ধতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোট ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশঙ্কা করছেন, এমন হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো বেশি সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে, দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে। কোন পদ্ধতি ভোট হবে- তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধান খুলে দেখতে হবে।

কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা আইন-কানুন, সংবিধান এবং লিগ্যালিটি মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, তাদের প্রতি আহ্বান করবো; কোনো রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক, অবৈধ, অসাংবিধানিক, বেআইনি আবদার মেনে এ জাতিকে সংকটে ফেলে দেওয়া যাবে না। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাই থাকতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দএই সরকার সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বহুবার তার বক্তব্যে বলেছেন। এই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আইনানুগভাবে ভবিষ্যতে এই রাষ্ট্রকে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত করতে হবে। স্ট্যাব্লিশ করতে হবে। আইনের শাসনের রাষ্ট্রের প্র্যাকটিস দেখাতে হবে।‘

তিনি বলেন, আমাদের পাশের কিছু দেশ আছে, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা চায় না। কেন চায় না? কারণ, তাদের স্বার্থ আছে। তারা যদি আবারও অস্থিতিশীল করতে পারে, তবে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট সরকার পেতে পারে, অথবা দুর্বল সরকারের কাছে যা কিছুই দাবি করা যাবে, সবকিছু আদায় করা যাবে। আমরা কী সেটা চাই?

পিআর নিয়ে যেসব জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে, তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ কোথায় রইল? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।

সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ, অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’

ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি করবে পিআর পদ্ধতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোট ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশঙ্কা করছেন, এমন হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো বেশি সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে, দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে। কোন পদ্ধতি ভোট হবে- তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধান খুলে দেখতে হবে।

কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা আইন-কানুন, সংবিধান এবং লিগ্যালিটি মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, তাদের প্রতি আহ্বান করবো; কোনো রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক, অবৈধ, অসাংবিধানিক, বেআইনি আবদার মেনে এ জাতিকে সংকটে ফেলে দেওয়া যাবে না। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাই থাকতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দএই সরকার সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বহুবার তার বক্তব্যে বলেছেন। এই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আইনানুগভাবে ভবিষ্যতে এই রাষ্ট্রকে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত করতে হবে। স্ট্যাব্লিশ করতে হবে। আইনের শাসনের রাষ্ট্রের প্র্যাকটিস দেখাতে হবে।‘

তিনি বলেন, আমাদের পাশের কিছু দেশ আছে, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা চায় না। কেন চায় না? কারণ, তাদের স্বার্থ আছে। তারা যদি আবারও অস্থিতিশীল করতে পারে, তবে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট সরকার পেতে পারে, অথবা দুর্বল সরকারের কাছে যা কিছুই দাবি করা যাবে, সবকিছু আদায় করা যাবে। আমরা কী সেটা চাই?

পিআর নিয়ে যেসব জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে, তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ কোথায় রইল? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।

সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ, অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’

ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিন।