Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনো চিঠির জবাব দেয়নি ভারত : মুখপাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও এখনো তার জবাব দেয়নি ভারত।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য দেশের জন্য বিপদজ্জনক।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কি? জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার পর আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ থাকে না।

শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তনে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্রের জবাব দিয়েছে কি না এবং না দিয়ে থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, এটার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন। তারপরও আমরা বলছি, আমরা ভারতের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি। পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পাবলিকলি একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

চিঠির দেওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৬ মার্চ চীন সফরে যাবেন। প্রধান উপদেষ্টা ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

ড. ইউনূসের চীন সফর নিয়ে করা এক প্রশ্নের কিছুটা ধারণা দেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার চীনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে তিনি বক্তব্য দেবেন বলে আমরা জেনেছি। ওইদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের বৈঠক হতে পারে।

রফিকুল আলম বলেন, ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৯ মার্চ চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটিতে তিনি বক্তব্য দেবেন। পরে তার বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারতের এহেন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা। সেজন্য দিল্লিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বার্তা দিয়েছে ঢাকা।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বাংলাদেশ ইস্যুতে করা মন্তব্য নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

রফিকুল আলম বলেন, গত ৭ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্যের বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও সংখ্যালঘু সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে, এ বিষয়সমূহ একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ ধরনের মন্তব্য অযাচিত ও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের শামিল। এই ধরনের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার ভুল প্রতিফলন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করি যে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ধরনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

বাংলাদেশবিরোধী ভারতীয় অপপ্রচার বন্ধে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করণীয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ভারতীয় অপ্রচার যা আমরা দেখছি তার বেশিরভাগ বেসরকারি পর্যায়ের। বিভিন্ন মিডিয়া হাউস তাদের নিজেদের মতো করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরনের অপ্রচার সঠিকভাবে মোকাবিলা করা খুব একটা সহজ ব্যাপার না। কিন্তু এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার মধ্যে আছে এবং কীভাবে ভালো উপায়ে রেসপন্স করা যায় এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক নিয়ে মুখপাত্র বলেন, গত ৬-৭ মার্চ ২০২৫ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারিগরি পর্যায়ের সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্যার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনার বিষয়টি এবং আরও অনেক বিষয়।

তিনি বলেন, কিছু বিষয়ের আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারার কারণে বৈঠকের পর কোনো মিনিটসে সই করা হয়নি। তবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোনো সভায় দুপক্ষ এক বা একাধিক বিষয়ে একমত না হলে মিনিটস স্বাক্ষর নাও হতে পারে। অতীতেও বিভিন্ন সভায় এরকম ঘটনা ঘটেছে। দু-পক্ষ পরে কূটনৈতিক মাধ্যমে মতৈক্যের ভিত্তিতে এটি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা নেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনো চিঠির জবাব দেয়নি ভারত : মুখপাত্র

প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও এখনো তার জবাব দেয়নি ভারত।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য দেশের জন্য বিপদজ্জনক।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কি? জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার পর আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ থাকে না।

শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তনে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্রের জবাব দিয়েছে কি না এবং না দিয়ে থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, এটার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন। তারপরও আমরা বলছি, আমরা ভারতের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি। পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পাবলিকলি একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

চিঠির দেওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৬ মার্চ চীন সফরে যাবেন। প্রধান উপদেষ্টা ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

ড. ইউনূসের চীন সফর নিয়ে করা এক প্রশ্নের কিছুটা ধারণা দেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার চীনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে তিনি বক্তব্য দেবেন বলে আমরা জেনেছি। ওইদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের বৈঠক হতে পারে।

রফিকুল আলম বলেন, ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৯ মার্চ চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটিতে তিনি বক্তব্য দেবেন। পরে তার বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারতের এহেন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা। সেজন্য দিল্লিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বার্তা দিয়েছে ঢাকা।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বাংলাদেশ ইস্যুতে করা মন্তব্য নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

রফিকুল আলম বলেন, গত ৭ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্যের বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও সংখ্যালঘু সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে, এ বিষয়সমূহ একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ ধরনের মন্তব্য অযাচিত ও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের শামিল। এই ধরনের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার ভুল প্রতিফলন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করি যে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ধরনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

বাংলাদেশবিরোধী ভারতীয় অপপ্রচার বন্ধে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করণীয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ভারতীয় অপ্রচার যা আমরা দেখছি তার বেশিরভাগ বেসরকারি পর্যায়ের। বিভিন্ন মিডিয়া হাউস তাদের নিজেদের মতো করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরনের অপ্রচার সঠিকভাবে মোকাবিলা করা খুব একটা সহজ ব্যাপার না। কিন্তু এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার মধ্যে আছে এবং কীভাবে ভালো উপায়ে রেসপন্স করা যায় এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক নিয়ে মুখপাত্র বলেন, গত ৬-৭ মার্চ ২০২৫ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারিগরি পর্যায়ের সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্যার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনার বিষয়টি এবং আরও অনেক বিষয়।

তিনি বলেন, কিছু বিষয়ের আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারার কারণে বৈঠকের পর কোনো মিনিটসে সই করা হয়নি। তবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোনো সভায় দুপক্ষ এক বা একাধিক বিষয়ে একমত না হলে মিনিটস স্বাক্ষর নাও হতে পারে। অতীতেও বিভিন্ন সভায় এরকম ঘটনা ঘটেছে। দু-পক্ষ পরে কূটনৈতিক মাধ্যমে মতৈক্যের ভিত্তিতে এটি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা নেবে।