স্পোর্টস ডেস্ক :
হার্টে রিং পরানোর চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তামিম ইকবাল। আপাতত তার ঝুঁকি খুব একটা নেই। তবে বাসায় লম্বা সময় বিশ্রামে থাকতে হবে, পাশাপাশি মেনে চলতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বাসায় ফেরেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
কিছু পরীক্ষা করাতে ও দাঁতের চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৯ মার্চ) আবার তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়া বাসায় থাকলেও চিকিৎসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামিমের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদার। শনিবার পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য তামিমকে আবারো হাসপাতালে আসতে হবে। পরিবার বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও আপাতত সেটার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এখন তাকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। বিশেষ করে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।
শাহাবুদ্দিন বলেছেন, “আমাদের যে নির্দেশনা, এমন হার্ট অ্যাটাকের পর এসব রোগীদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাদের এটা হওয়ার প্রবণতা আবার থাকতে পারে। ব্লক না হলেও হতে পারে। তাই ওকে অ্যাসেস করতে হবে। নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে। লাইফ স্টাইল বদলাতে হবে, মোটিভেশন করতে হবে”
“ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগস… তামিমের টিম ও তামিমের পরিবার এবং তামিমকে নিজেরও আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করতে হবে”- আরও যোগ করেন শাহাবুদ্দিন।
অস্ত্রোপচারের পরদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর বলেছিলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে তামিমের। তবে অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে শরীর একটু থিতু হওয়ার বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি।
গত সোমবার বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বুকে ব্যথা অনুভব করার পর মাঠ ছাড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক। নিকটস্থ কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে শরীর আরও খারাপ করে অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুতগতিতে সেই হাসপাতালেই ফেরানো হয় তাকে। জানা যায়, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। দ্রুতই হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়। মোহামেডানের ট্রেনার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসকদের তৎপরতায় একরকম মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরেন তিনি।
পরদিন সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পর্যবেক্ষণে থাকার পর ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরলেন বাংলাদেশের সফলতম ওপেনার।