Dhaka মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসে হানিয়ার উত্তরসূরি হলেন সিনওয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক প্রধান প্রয়াত ইসমাইল হানিয়ায় স্থলাভিষিক্ত হলেন গাজা উপত্যকার সন্তান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাকে হামাসের দায়িত্ব দেয় সংগঠনটির সুরা কাউন্সিল।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে হামাস। খবর আলজাজিরার।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনষ্ঠানে গিয়ে ইসরায়েলের গুপ্তহত্যায় নিহত হন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।

এমন এক সময়ে সিনওয়ারের কাঁধে হামাসের দায়িত্ব এল, যখন ইসরায়েলের হামলায় জ্বলেপুড়ে ছারখার ফিলিস্তিন ভূখণ্ড, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন দলে দলে ফিলিস্তিনিরা জীবন দিচ্ছে, স্কুল-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে না ইসরায়েল।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলায় হতাহতের ঘটনার পর ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গাজায় হামলা শুরুর পর ১০ মাসের বিভীষিকায় প্রাণ গেছে ৩৯ হাজারের বেশি মানুষের।

আল জাজিরা লিখেছে, সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে হানিয়ার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হলো, যিনি শহীদ নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

৬১ বয়সী সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনে করে ইসরায়েল। সিনওয়ার গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ময়দানে নেতৃত্বে রয়েছেন। তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তেলআবিব। হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় এগারশ ইসরায়েলি নিহত হন, প্রায় দুইশজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সংগঠনটি।

৩১ জুলাই ইরানে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নিহত হন হানিয়া। তবে হামলার দায় স্বীকার-অস্বীকার কোনোটাই করেনি ইসরায়েল। তখন বাস্তবতা পর্যালোচনায় সব পক্ষই মোটামুটি একমত ইসরায়েলের হামলাতেই হানিয়া নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ।

ইরান যদি সত্যিই হামলা চালিয়ে বসে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

হামাসে হানিয়ার উত্তরসূরি হলেন সিনওয়ার

প্রকাশের সময় : ১২:১৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক প্রধান প্রয়াত ইসমাইল হানিয়ায় স্থলাভিষিক্ত হলেন গাজা উপত্যকার সন্তান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাকে হামাসের দায়িত্ব দেয় সংগঠনটির সুরা কাউন্সিল।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে হামাস। খবর আলজাজিরার।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনষ্ঠানে গিয়ে ইসরায়েলের গুপ্তহত্যায় নিহত হন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।

এমন এক সময়ে সিনওয়ারের কাঁধে হামাসের দায়িত্ব এল, যখন ইসরায়েলের হামলায় জ্বলেপুড়ে ছারখার ফিলিস্তিন ভূখণ্ড, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন দলে দলে ফিলিস্তিনিরা জীবন দিচ্ছে, স্কুল-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে না ইসরায়েল।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলায় হতাহতের ঘটনার পর ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গাজায় হামলা শুরুর পর ১০ মাসের বিভীষিকায় প্রাণ গেছে ৩৯ হাজারের বেশি মানুষের।

আল জাজিরা লিখেছে, সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে হানিয়ার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হলো, যিনি শহীদ নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

৬১ বয়সী সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনে করে ইসরায়েল। সিনওয়ার গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ময়দানে নেতৃত্বে রয়েছেন। তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তেলআবিব। হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় এগারশ ইসরায়েলি নিহত হন, প্রায় দুইশজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সংগঠনটি।

৩১ জুলাই ইরানে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নিহত হন হানিয়া। তবে হামলার দায় স্বীকার-অস্বীকার কোনোটাই করেনি ইসরায়েল। তখন বাস্তবতা পর্যালোচনায় সব পক্ষই মোটামুটি একমত ইসরায়েলের হামলাতেই হানিয়া নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ।

ইরান যদি সত্যিই হামলা চালিয়ে বসে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে।