আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মুক্তি দেওয়া হবে এমন জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা হামাস প্রকাশ না করা পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত সময়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অর্থাৎ, পূর্বনির্ধারিত সময়ে (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) কার্যকর হচ্ছে না এই বিরতি।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার অল্প সময় আগে নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে তার কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। নেতানিয়াহু বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম হামাস ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর বিলম্বিত হয়েছে। এছাড়া হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস গাজায় আটক বন্দিদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত হয়েছে। তার অফিস থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) যুদ্ধবিরতি শুরু না করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টায়) কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে হামাস বলছে, ‘প্রযুক্তিগত কারণে’ বন্দিদের তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে।
অবশ্য আগেরদিন রাতেই গাজায় এই যুদ্ধবিরতিকে ‘অস্থায়ী’ বলে দাবি করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরও দাবি করেন, প্রয়োজনে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলকে।
এদিকে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইডিএফ মুখপাত্র। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জেনারেল হাগারি বলেছেন, যতক্ষণ না হামাস তার “দায়বদ্ধতা” পূরণ করতে পারছে ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।
মূলত অনুস্মারক হিসাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, পরিকল্পিত বন্দি বিনিময়ের কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে বন্দিদের নাম সরবরাহ করা উচিত। হামাস বলেছে, নামের তালিকা বিলম্বের কারণ “প্রযুক্তিগত” সমস্যা।
এদিকে গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও হামাস চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না এই বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ হচ্ছে।