Dhaka রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি হত্যা : সিবিউন ও সঞ্জয় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা মামলায় আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে দেশে বা দেশের বাইরে আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের প্রথম দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা জনৈক ফিলিপ নামক এক ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সিবিউন ও সঞ্জয় সেই ব্যক্তি ফিলিপের নেতৃত্বে কার্য পরিচালনা করে মর্মে জানা যায়। ফিলিপের অবস্থান সনাক্তকরণ, গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পুনরায় ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

ফিলিপ ব্যতীত সহায়তাকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে তাদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্র শনাক্তকরণ প্রয়োজন। এ ছাড়া ফিলিপের সাথে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে তা জানার জন্য পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এ মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্টকার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

এদের মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন হাদি। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে ওইদিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার পাঠানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাদি হত্যা : সিবিউন ও সঞ্জয় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা মামলায় আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে দেশে বা দেশের বাইরে আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের প্রথম দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা জনৈক ফিলিপ নামক এক ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সিবিউন ও সঞ্জয় সেই ব্যক্তি ফিলিপের নেতৃত্বে কার্য পরিচালনা করে মর্মে জানা যায়। ফিলিপের অবস্থান সনাক্তকরণ, গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পুনরায় ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

ফিলিপ ব্যতীত সহায়তাকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে তাদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্র শনাক্তকরণ প্রয়োজন। এ ছাড়া ফিলিপের সাথে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে তা জানার জন্য পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এ মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্টকার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

এদের মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন হাদি। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে ওইদিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার পাঠানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।