নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হেরোইনসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় শনিবার (১ এপ্রিল) অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় মো. আতিকুর রহমান মাসুদ (৩২) নামে এক যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলেন। এ সময় তার হাতে থাকা শপিংব্যাগে হলুদ গুঁড়ার প্যাকেট পাওয়া যায়। তার মধ্যে কৌশলে ৭৮৫ গ্রাম হেরোইন বহন করছিলেন তিনি। যার আনুমানিক দাম ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
রোববার (২ এপ্রিল) র্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন র্যাব সদস্যরা। এ সময় আতিকুর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেন তার কাছে হেরোইন আছে।
এএসপি ফজলুল হক বলেন, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে একটি মুদি দোকানের কর্মচারী বলে পরিচয় দেন। হেরোইন বিক্রি করতে কেরানীগঞ্জ থেকে রায়েরবাজারে এসেছেন। দীর্ঘদিন তিনি মাদক কারবারে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
মো. ফজলুল হক জানান, গ্রেফতারকৃত মাসুদ নিজেকে একটি মুদি দোকানের ষ্টাফ বলে পরিচয় দেয়। মাদক সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কৌশলে এড়িয়ে গেলেও অধিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার কাছে হেরোইন আছে মর্মে স্বীকার করে। মাসুদ জানায় এই হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সে এই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। রাজধানীসহ আশেপাশের জেলায় নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে স্বল্পমূল্যে হেরোইন ক্রয় করে। যা ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চড়াদামে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যহত রাখবে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, আসামি মাসুদ মাদক মামলায় তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে।