Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্যালাইন রেখে নেই বললে ফার্মেসি সিলগালা : ভোক্তা ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্যালাইনের চাহিদা ও সরবরাহে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। একটি স্যালাইন স্টকে থাকার পরও কোনো ফার্মেসি যদি বলে নেই, তাহলে ওই ফার্মেসি সিলগালা করে করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ভোক্তা ডিজি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযানে যদি আমরা দেখতে পাই কোথাও স্যালাইনের স্টক করে রাখা হয়েছে, সেটি আমরা সিলগালা করে দেব। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে তাদের স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। যারা স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সব ফার্মেসিগুলো আমরা বন্ধ করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, ফার্মেসিতে স্যালাইনের যে স্টক আছে, তা থাকাকালীন যদি ক্রেতাদের বলা হয় স্যালাইন নেই বা বেশি দাম ধরা হয়, এটা যদি আমরা বের করতে পারি, তাহলে আমরা সেই ফার্মেসি বা প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেব। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার ব্যবস্থা করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আশা করা যায় স্যালাইনের যে ক্রাইসিস চলছে, এটার সমাধান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা বর্তমানে চাহিদা সরবরাহের খুব বেশি পার্থক্য নেই। আমাদের মনে হয়, এখানে একটি চক্র সুযোগ নিচ্ছে, স্টক করে রাখছে। ই ক্রাইসিস যারা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে স্যালাইন ইমপোর্ট হচ্ছে, প্রয়োজনে আরও ইমপোর্টের অনুমতি দেবে সরকার।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, স্যালাইনের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেওয়া আছে, তার চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই- এরপরও যদি বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি হয়, তাহলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। স্যালাইনের মূল্য নিয়ে কোথায় সমস্যা আছে তা আমরা চিহ্নিত করতে চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট- এমআরপি বা স্যালাইনের গায়ে যেটা লেখা আছে, সেটা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমরা আজ স্যালাইন বিষয়ক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। আপনাদের কথা শুনব, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না।

সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বার্ড স্ট্রাইক, বেঙ্গালুরুতে ফ্লাইট বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া

স্যালাইন রেখে নেই বললে ফার্মেসি সিলগালা : ভোক্তা ডিজি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্যালাইনের চাহিদা ও সরবরাহে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। একটি স্যালাইন স্টকে থাকার পরও কোনো ফার্মেসি যদি বলে নেই, তাহলে ওই ফার্মেসি সিলগালা করে করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ভোক্তা ডিজি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযানে যদি আমরা দেখতে পাই কোথাও স্যালাইনের স্টক করে রাখা হয়েছে, সেটি আমরা সিলগালা করে দেব। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে তাদের স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। যারা স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সব ফার্মেসিগুলো আমরা বন্ধ করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, ফার্মেসিতে স্যালাইনের যে স্টক আছে, তা থাকাকালীন যদি ক্রেতাদের বলা হয় স্যালাইন নেই বা বেশি দাম ধরা হয়, এটা যদি আমরা বের করতে পারি, তাহলে আমরা সেই ফার্মেসি বা প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেব। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার ব্যবস্থা করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আশা করা যায় স্যালাইনের যে ক্রাইসিস চলছে, এটার সমাধান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা বর্তমানে চাহিদা সরবরাহের খুব বেশি পার্থক্য নেই। আমাদের মনে হয়, এখানে একটি চক্র সুযোগ নিচ্ছে, স্টক করে রাখছে। ই ক্রাইসিস যারা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে স্যালাইন ইমপোর্ট হচ্ছে, প্রয়োজনে আরও ইমপোর্টের অনুমতি দেবে সরকার।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, স্যালাইনের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেওয়া আছে, তার চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই- এরপরও যদি বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি হয়, তাহলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। স্যালাইনের মূল্য নিয়ে কোথায় সমস্যা আছে তা আমরা চিহ্নিত করতে চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট- এমআরপি বা স্যালাইনের গায়ে যেটা লেখা আছে, সেটা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমরা আজ স্যালাইন বিষয়ক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। আপনাদের কথা শুনব, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না।

সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।