Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রিফিংয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। সেটাপ ও যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এর মাধ্যমে আনলিমিটেড ডাটা পাওয়া যাবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের উপর আমরা ট্যাক্স আরোপ করবো। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে দেশে নতুন টেলিগ্রাম সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে প্রবেশ করলাম আমরা। স্টারলিংকের ডেটার লিমিট থাকবে না। আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।

তিনি বলেন, সেবা দিতে হলে তাদের লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতেই হবে। ফলে তথ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশের হাতেই।

তিনি আরো বলেন, সেবায় কোনো ডেটা লিমিটেশন থাকবে না, ব্যবহারকারীরা পাবেন পুরোপুরি আনলিমিটেড ডেটা। একইসাথে ২০-৩০ মিটার এলাকাজুড়ে এমনকি ২-৩ তলা বিশিষ্ট ভবনের ২-৩টি কক্ষেও সিগন্যাল কভার করবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের এই সেবা উদ্যোক্তাবান্ধব এবং কোনো ধরনের ব্যান্ডউইথ বৈষম্য থাকবে না। দেশের প্রযুক্তি খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে এটি। এছাড়া, বাংলাদেশের নিজস্ব ব্রডব্যান্ড প্রকল্প যেমন চাইনিজ কোম্পানির সঙ্গে টেকসই ইন্টারনেট উন্নয়ন পরিকল্পনাও চালু থাকবে। স্টারলিংকের কারণে সেগুলো বাধাগ্রস্ত হবে না। প্রাথমিকভাবে ৭ হাজার টাকায় ডিভাইস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে, যা সাফল্যের নির্দেশনা প্রকাশ করে। প্রথমত, ৯০ দিন আগে বাংলাদেশে কোনো এনজিএসও লাইসেন্স ছিল না। এই ৯০ দিনের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক দ্রুত সময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটা এনজিএসও গাইডলাইন করেছে এবং সেটির অনুকূলে একটা অপারেটর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর আবেদন করেছে। সেই আবেদনটাও প্রসেস করে মাত্র চার মাস ফেব্রুয়ারি থেকে মে এর মধ্যে এটা কমার্শিয়াল যাত্রা শুরু করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ধরনের টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্সের রোল আউটের ইতিহাসের প্রথম ও অনন্য ঘটনা।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ব্রিফিংয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। সেটাপ ও যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এর মাধ্যমে আনলিমিটেড ডাটা পাওয়া যাবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের উপর আমরা ট্যাক্স আরোপ করবো। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে দেশে নতুন টেলিগ্রাম সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে প্রবেশ করলাম আমরা। স্টারলিংকের ডেটার লিমিট থাকবে না। আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।

তিনি বলেন, সেবা দিতে হলে তাদের লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতেই হবে। ফলে তথ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশের হাতেই।

তিনি আরো বলেন, সেবায় কোনো ডেটা লিমিটেশন থাকবে না, ব্যবহারকারীরা পাবেন পুরোপুরি আনলিমিটেড ডেটা। একইসাথে ২০-৩০ মিটার এলাকাজুড়ে এমনকি ২-৩ তলা বিশিষ্ট ভবনের ২-৩টি কক্ষেও সিগন্যাল কভার করবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের এই সেবা উদ্যোক্তাবান্ধব এবং কোনো ধরনের ব্যান্ডউইথ বৈষম্য থাকবে না। দেশের প্রযুক্তি খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে এটি। এছাড়া, বাংলাদেশের নিজস্ব ব্রডব্যান্ড প্রকল্প যেমন চাইনিজ কোম্পানির সঙ্গে টেকসই ইন্টারনেট উন্নয়ন পরিকল্পনাও চালু থাকবে। স্টারলিংকের কারণে সেগুলো বাধাগ্রস্ত হবে না। প্রাথমিকভাবে ৭ হাজার টাকায় ডিভাইস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে, যা সাফল্যের নির্দেশনা প্রকাশ করে। প্রথমত, ৯০ দিন আগে বাংলাদেশে কোনো এনজিএসও লাইসেন্স ছিল না। এই ৯০ দিনের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক দ্রুত সময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটা এনজিএসও গাইডলাইন করেছে এবং সেটির অনুকূলে একটা অপারেটর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর আবেদন করেছে। সেই আবেদনটাও প্রসেস করে মাত্র চার মাস ফেব্রুয়ারি থেকে মে এর মধ্যে এটা কমার্শিয়াল যাত্রা শুরু করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ধরনের টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্সের রোল আউটের ইতিহাসের প্রথম ও অনন্য ঘটনা।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।