Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কচ্ছপের গতিতে আগাচ্ছেন : ডা. জাহিদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে জনগণ অন্তর্র্বতী সরকারে ওপর ফুঁসে উঠতে পারে জনগণ। অথচ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) আয়োজিত ফার্মাসিস্ট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য সচিবকে লক্ষ্য করে বলতে চাই, আমরা কিছু বলছি না বলে ভাববেন না আমরা কিছুই দেখছি না। আমরা কিন্তু এভাবে বেশিদিন চুপচাপ থাকব না। আমরা আর আপনাদের উপর আশ্বস্ত হতে পারছি না। দয়া করে আপনারা আপনাদের যোগ্যতা কাজ দিয়ে প্রমাণ করুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ১৭ বছর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বত্র আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে আছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ করা না হলে স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।

১৭ বছর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, যারা গত ১৭ বছর স্বাস্থ্যখাত লুটেপুটে খেয়েছে, তারা কিভাবে অধিদফতরে বুক ফুলিয়ে চলে। আপনারা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে মানুষ আপনাদের বিরুদ্ধেও ফুঁসে ওঠবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষকে নির্যাতন করেছে, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। আমরা বলে দিতে চাই এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে প্রায় দু’মাস হতে চললো। আপনারা অতিদ্রুত যারা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিন, তা না হলে এই সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ভেস্তে যাবে।

বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্যখাত কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা খুব বেশিদিন চুপ থাকবো না। আপনাদের প্রতি আমরা বিশ্বাস রাখতে পারছি না। কারণ আজকে একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তো কাল সেটা বাতিল করে পরের দিন আরেকটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আপনারদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে একা করা সম্ভব নয়। এটি একটি সম্মিলিত কাজ। একজন ডাক্তারের পক্ষে একা সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে ডাক্তারের পাশাপাশি নার্স টেকনেশিয়ান প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশ থেকে যদি রোগী বাইরে যেতে বন্ধ করতে চাই, তাহলে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে। ২০০২ সালে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে চিকিৎসার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সেইদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে সরকারি ডাক্তার ৫০ ভাগ ও বেসরকারি ডাক্তার ৫০ ভাগ করার কারণে চিকিৎসা সেবার উন্নতি হয়। আমরা দেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পেয়েছি।
এই সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসল। আপনার নির্বাচিত সরকারের দিকে না তাকিয়ে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরুন, আমরা সহযোগিতা করবো।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এখনো প্রশাসনের সর্বত্র বিশেষ করে স্বাস্থ্য প্রশাসনে উপদেষ্টা, সচিব আর দু একজন ডিজি ছাড়া সর্বত্র আওয়ামী লীগের প্রেত্মাতা বসে আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কচ্ছপের গতিতে আগাচ্ছেন : ডা. জাহিদ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে জনগণ অন্তর্র্বতী সরকারে ওপর ফুঁসে উঠতে পারে জনগণ। অথচ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) আয়োজিত ফার্মাসিস্ট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য সচিবকে লক্ষ্য করে বলতে চাই, আমরা কিছু বলছি না বলে ভাববেন না আমরা কিছুই দেখছি না। আমরা কিন্তু এভাবে বেশিদিন চুপচাপ থাকব না। আমরা আর আপনাদের উপর আশ্বস্ত হতে পারছি না। দয়া করে আপনারা আপনাদের যোগ্যতা কাজ দিয়ে প্রমাণ করুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ১৭ বছর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বত্র আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে আছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ করা না হলে স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।

১৭ বছর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, যারা গত ১৭ বছর স্বাস্থ্যখাত লুটেপুটে খেয়েছে, তারা কিভাবে অধিদফতরে বুক ফুলিয়ে চলে। আপনারা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে মানুষ আপনাদের বিরুদ্ধেও ফুঁসে ওঠবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষকে নির্যাতন করেছে, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। আমরা বলে দিতে চাই এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে প্রায় দু’মাস হতে চললো। আপনারা অতিদ্রুত যারা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিন, তা না হলে এই সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ভেস্তে যাবে।

বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্যখাত কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা খুব বেশিদিন চুপ থাকবো না। আপনাদের প্রতি আমরা বিশ্বাস রাখতে পারছি না। কারণ আজকে একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তো কাল সেটা বাতিল করে পরের দিন আরেকটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আপনারদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে একা করা সম্ভব নয়। এটি একটি সম্মিলিত কাজ। একজন ডাক্তারের পক্ষে একা সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে ডাক্তারের পাশাপাশি নার্স টেকনেশিয়ান প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশ থেকে যদি রোগী বাইরে যেতে বন্ধ করতে চাই, তাহলে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে। ২০০২ সালে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে চিকিৎসার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সেইদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে সরকারি ডাক্তার ৫০ ভাগ ও বেসরকারি ডাক্তার ৫০ ভাগ করার কারণে চিকিৎসা সেবার উন্নতি হয়। আমরা দেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পেয়েছি।
এই সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসল। আপনার নির্বাচিত সরকারের দিকে না তাকিয়ে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরুন, আমরা সহযোগিতা করবো।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এখনো প্রশাসনের সর্বত্র বিশেষ করে স্বাস্থ্য প্রশাসনে উপদেষ্টা, সচিব আর দু একজন ডিজি ছাড়া সর্বত্র আওয়ামী লীগের প্রেত্মাতা বসে আছে।