Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আবারও ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ২০৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বল দখলে ও আক্রমণে দাপট দেখাল স্পেন। অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গোল করে এগিয়েও গেল তারা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নিল ইংল্যান্ড। পরে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসল তারাই। ধরে রাখল শিরোপা।

উইমেন’স ইউরোর ফাইনালে রোববার (২৭ জুলাই) ১২০ মিনিটের লড়াই ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর, পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড।

দুই বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হারলেও, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জিতে শিরোপা উৎসব করল ইংল্যান্ডের মেয়েরা।

১৯৮৪ সালে প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো উইমেন’স ইউরোর ফাইনাল।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। বেথ মিড পা পিছলে পড়ে গিয়ে ‘ডাবল টাচে’ বল জালে পাঠানোর পর পুনরায় শট নিতে হয় তাকে। এবার তার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক। তবে ইংল্যান্ডের পরের চার শটের তিনটিই খুঁজে পায় জাল।

জার্মানির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া বার্সেলোনা তারকা আইতানা বনমাতিসহ স্পেনের তিন জন টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন। যার দুটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

২০২৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের পর, এবার প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল স্পেনের মেয়েদের।

অন্যদিকে, তৃতীয় দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় একাধিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। তাদের মতো দুইবারের শিরোপা জয়ী নরওয়ে। আর রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

মূল ম্যাচে প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখে গোলের জন্য ২২টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্পেন। ইংল্যান্ডের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।

২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সে ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে।

বিরতির পর ৫৭ মিনিটে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান অ্যালেসিয়া রুসো। হেডে গোল খাওয়ার জবাবটা ইংল্যান্ড হেডে গোল করেই দেয়। বক্সের বাইরে থেকে ক্লোয়ি কেলির করা ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রুসো। এরপর নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে দুই দল চেষ্টা করেও আর কোনো গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে প্রথম চার শটের তিনটিতেই গোল করতে ব্যর্থ হয় স্প্যানিশ মেয়েরা। যেখানে ইউরোর সেরা খেলোয়াড় এবং ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা আইতানা বোনমাতিও আছেন। অন্য দিকে ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ৪ শটের ২টিতেই গোল করে।

ইংল্যান্ডের হয়ে পঞ্চম ও শেষ শটটি নেন কেলি। শিরোপা নির্ধারণী এই শটে কোনো ভুল করেননি ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। দারুণ শটে কেলি বল জালে জড়াতেই উল্লাসে মাতে ইংলিশ মেয়েরা।

এর আগে ২০২২ ইউরোর ফাইনালেও জয়সূচক গোলটা এসেছিল কেলির কাছ থেকে। শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কেলি নিজের নেওয়া শেষ শট সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি শান্ত ছিলাম, সংযত ছিলাম। আমি জানতাম বলটা জালে জড়াবে।’

ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক দলটির কোচ সারিনা ভাইগমান। এ নিয়ে টানা তিনটি শিরোপা জিতলেন তিনি। দুটি ইংল্যান্ডের হয়ে এবং অন্যটি ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে। দারুণ এই কীর্তি গড়ার পর ভাইগমান বলেছেন, আমরা বলেছিলাম যে কোনো উপায়ে জিততে পারি। আজ আমরা আবারও সেটা প্রমাণ করেছি। আমি দল এবং স্টাফদের নিয়ে খুব গর্বিত। এটা অবিশ্বাস্য।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আবারও ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ১২:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বল দখলে ও আক্রমণে দাপট দেখাল স্পেন। অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গোল করে এগিয়েও গেল তারা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নিল ইংল্যান্ড। পরে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসল তারাই। ধরে রাখল শিরোপা।

উইমেন’স ইউরোর ফাইনালে রোববার (২৭ জুলাই) ১২০ মিনিটের লড়াই ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর, পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড।

দুই বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হারলেও, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জিতে শিরোপা উৎসব করল ইংল্যান্ডের মেয়েরা।

১৯৮৪ সালে প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো উইমেন’স ইউরোর ফাইনাল।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। বেথ মিড পা পিছলে পড়ে গিয়ে ‘ডাবল টাচে’ বল জালে পাঠানোর পর পুনরায় শট নিতে হয় তাকে। এবার তার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক। তবে ইংল্যান্ডের পরের চার শটের তিনটিই খুঁজে পায় জাল।

জার্মানির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া বার্সেলোনা তারকা আইতানা বনমাতিসহ স্পেনের তিন জন টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন। যার দুটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

২০২৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের পর, এবার প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল স্পেনের মেয়েদের।

অন্যদিকে, তৃতীয় দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় একাধিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। তাদের মতো দুইবারের শিরোপা জয়ী নরওয়ে। আর রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

মূল ম্যাচে প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখে গোলের জন্য ২২টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্পেন। ইংল্যান্ডের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।

২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সে ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে।

বিরতির পর ৫৭ মিনিটে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান অ্যালেসিয়া রুসো। হেডে গোল খাওয়ার জবাবটা ইংল্যান্ড হেডে গোল করেই দেয়। বক্সের বাইরে থেকে ক্লোয়ি কেলির করা ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রুসো। এরপর নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে দুই দল চেষ্টা করেও আর কোনো গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে প্রথম চার শটের তিনটিতেই গোল করতে ব্যর্থ হয় স্প্যানিশ মেয়েরা। যেখানে ইউরোর সেরা খেলোয়াড় এবং ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা আইতানা বোনমাতিও আছেন। অন্য দিকে ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ৪ শটের ২টিতেই গোল করে।

ইংল্যান্ডের হয়ে পঞ্চম ও শেষ শটটি নেন কেলি। শিরোপা নির্ধারণী এই শটে কোনো ভুল করেননি ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। দারুণ শটে কেলি বল জালে জড়াতেই উল্লাসে মাতে ইংলিশ মেয়েরা।

এর আগে ২০২২ ইউরোর ফাইনালেও জয়সূচক গোলটা এসেছিল কেলির কাছ থেকে। শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কেলি নিজের নেওয়া শেষ শট সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি শান্ত ছিলাম, সংযত ছিলাম। আমি জানতাম বলটা জালে জড়াবে।’

ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক দলটির কোচ সারিনা ভাইগমান। এ নিয়ে টানা তিনটি শিরোপা জিতলেন তিনি। দুটি ইংল্যান্ডের হয়ে এবং অন্যটি ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে। দারুণ এই কীর্তি গড়ার পর ভাইগমান বলেছেন, আমরা বলেছিলাম যে কোনো উপায়ে জিততে পারি। আজ আমরা আবারও সেটা প্রমাণ করেছি। আমি দল এবং স্টাফদের নিয়ে খুব গর্বিত। এটা অবিশ্বাস্য।