Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্পেন যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আফ্রিকার দেশ সেনেগাল থেকে স্পেন যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে অন্তত ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। তিনটি আলাদা নৌকায় চড়ে তারা সাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের ক্যান্যারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সোমবার (১০ জুলাই) অভিবাসী সহায়তা সংস্থা ওয়াকিং বর্ডারসের বরাতে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল ও আশপাশে অনুসন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার খবর শোনাতে পারেননি তারা। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী তিনটি নৌকা সেনেগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাফাউন্টাইন থেকে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের টেনেরিফ দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার।

ওয়াকিং বর্ডারসের কর্তৃপক্ষ হেলেনা ম্যালেনো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, একটি নৌকায় ৬৫ এবং অন্যটিতে ৫০-৬০ জন যাত্রী স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। সেনেগাল ছাড়ার পর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ তারা।

তিনি বলেন, তৃতীয় নৌকাটিতে গত ২৭ জুন ২০০ আরোহী নিয়ে সেনেগাল ছেড়ে যায় বলে জানা গেছে। স্পেনের উদ্দেশে নৌকায় রওনা হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান ম্যালেনো।

রয়টার্সকে তিনি আরও বলেন, জাহাজে যারা ছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও কোন খবর পাননি। তারা জানিয়েছে, তিনটি নৌকাই সেনেগালের দক্ষিণে কাফুনটিন থেকে ছেড়ে যায়। ৩০০ জন সেনেগালের একই এলাকার। দেশটিতে চরম অস্থিতিশীলতার কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা। নিখোঁজ অভিবাসীদের পরিবার খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছে।

ক্যানেরি দ্বীপটি পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত। এই পথ ধরে অবৈধভাবে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের অন্যতম রুট রয়ে উঠেছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাগরে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে।

পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী অভিবাসীদের প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। সেই তুলনায় অনেক কম সংখ্যক মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে যেতে চান।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় কমপক্ষে ৫৫৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২২ জন শিশু।

সাধারণত সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা এই রুটটি ব্যবহার করে থাকেন। সূত্র: রয়টার্স।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যারা নির্বাচন বিলম্ব করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের শক্তি নয় : সালাহউদ্দিন আহমদ

স্পেন যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আফ্রিকার দেশ সেনেগাল থেকে স্পেন যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে অন্তত ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। তিনটি আলাদা নৌকায় চড়ে তারা সাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের ক্যান্যারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সোমবার (১০ জুলাই) অভিবাসী সহায়তা সংস্থা ওয়াকিং বর্ডারসের বরাতে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল ও আশপাশে অনুসন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার খবর শোনাতে পারেননি তারা। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী তিনটি নৌকা সেনেগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাফাউন্টাইন থেকে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের টেনেরিফ দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার।

ওয়াকিং বর্ডারসের কর্তৃপক্ষ হেলেনা ম্যালেনো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, একটি নৌকায় ৬৫ এবং অন্যটিতে ৫০-৬০ জন যাত্রী স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। সেনেগাল ছাড়ার পর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ তারা।

তিনি বলেন, তৃতীয় নৌকাটিতে গত ২৭ জুন ২০০ আরোহী নিয়ে সেনেগাল ছেড়ে যায় বলে জানা গেছে। স্পেনের উদ্দেশে নৌকায় রওনা হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান ম্যালেনো।

রয়টার্সকে তিনি আরও বলেন, জাহাজে যারা ছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও কোন খবর পাননি। তারা জানিয়েছে, তিনটি নৌকাই সেনেগালের দক্ষিণে কাফুনটিন থেকে ছেড়ে যায়। ৩০০ জন সেনেগালের একই এলাকার। দেশটিতে চরম অস্থিতিশীলতার কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা। নিখোঁজ অভিবাসীদের পরিবার খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছে।

ক্যানেরি দ্বীপটি পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত। এই পথ ধরে অবৈধভাবে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের অন্যতম রুট রয়ে উঠেছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাগরে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে।

পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী অভিবাসীদের প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। সেই তুলনায় অনেক কম সংখ্যক মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে যেতে চান।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় কমপক্ষে ৫৫৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২২ জন শিশু।

সাধারণত সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা এই রুটটি ব্যবহার করে থাকেন। সূত্র: রয়টার্স।